সংসার, অফিস সামলে রূপচর্চার ফুরসত কই? ত্বকের দীপ্তি ধরে রাখতে স্বল্প সময়ে কী কী করতে পারেন? ছবি: ফ্রিপিক।
মুখেচোখে থাকবে দীপ্তি। পেলব ত্বকে থাকবে জেল্লা। এমন সৌন্দর্য পেতে গেলে যত্ন আবশ্যিক। ক্লিনজ়িং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজ়িং— নিয়মিত করা প্রয়োজন তাও জানেন অনেকেই। কিন্তু দিনের শেষে বাড়ি ফিরলেই ক্লান্ত শরীর চায় বিশ্রাম। তখন আবার ত্বকের যত্ন বড্ড ঝক্কি মনে হয় অনেকেরই।
তবে ব্যস্ত জীবনেও ত্বকের জৌলুস ধরে রাখার উপায় আছে। জেনে নিন, কী ভাবে, খুব সহজে ত্বকের পরিচর্যা করা সম্ভব।
ক্লিনজ়িং ওয়াইপস: হাতের কাছে ক্লিনজ়িং ওয়াইপ্স রাখুন। অ্যালো ভেরা, গ্রিন টি, ক্যামোমাইলের নির্যাসযুক্ত ওয়াইপ্স বেছে নিতে পারেন। খুব সহজেই তা দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়া যায়।
আর্দ্রতা: ত্বক মসৃণ এবং সুন্দর রাখতে প্রয়োজন আর্দ্রতা। রোদের তাপ, আবহাওয়া বদল, ধুলো-ধোঁয়ায় অনেক সময় ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। এ জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত জল খাওয়া এবং ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার। সারা দিনে স্যুপ বা স্বাস্থ্যকর তরল খাবার, কিংবা জলের ভাগ বেশি এমন ফল যেমন তরমুজ, শসা, আনারস বেছে নিতে পারেন।
সানস্ক্রিন: ত্বক ভাল রাখতে হলে তাকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মি থেকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন ত্বকের উপযোগী সানস্ক্রিন। সঠিক পদ্ধতিতে তা প্রয়োগ করতে হবে। না হলে ত্বকে কালচে হয়ে পড়বে, বলিরেখাও দেখা দিতে পারে।
বিবি ক্রিম, এসপিএফ যুক্ত ফাউন্ডেশন: ব্যস্ত জীবনে আলাদা করে সানস্ক্রিন, ফাউন্ডেশন ব্যবহারের সুযোগ না থাকলে, এসপিএফ যুক্ত ফাউন্ডেশন, মুখের পাওডার কিনতে পারেন।
আই ক্রিম: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোলাজেন কমতে থাকে। ফলে বলিরেখা দেখা যায়। চোখের চারপাশের ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতর বলে, সেখানেই বলিরেখা আগে পড়ে। অনেক সময় ক্লান্তির ফলে চোখের চারপাশ কালো হয়ে যায়। তাই ঘুমোনোর আগে আই ক্রিম ব্যবহার খুব জরুরি।
রাতের রুটিন: দিনের শেষে মাত্র ৫ মিনিট ত্বকের জন্য দিলেই হবে। ওয়াইপস দিয়ে চোখের কাজল, মেকআপ, লিপস্টিক তুলে মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তার পর ভাল কোনও রাতে মাখার ক্রিম ব্যবহার করুন। একই সঙ্গে আই ক্রিমও।
ত্বকের বিশেষ যত্ন: মাসে অন্তত এক দিন ফেসিয়াল করলে বা দু’দিন ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক ভাল থাকবে। ত্বকের নির্দিষ্ট কোনও সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসক বা কসমেটোলজিস্টের পরামর্শ নিতে পারেন।
ত্বক ভাল রাখতে পুষ্টিকর, পরিমিত খাদ্যগ্রহণ এবং পর্যাপ্ত ঘুমও কিন্তু জরুরি।