থানকুনির এত গুণ? ছবি: সংগৃহীত।
পেট খারাপ হলে নিয়ম করে থানকুনি পাতার রস খাওয়ানো হত ছোটবেলায়। স্বাদে কষা, গুল্মজাতীয় এই উদ্ভিদ সাধারণত পুকুরের আশপাশে জলা জমিতে সহজেই পাওয়া যায়। আমাশয়, পেট খারাপ কিংবা হজম সংক্রান্ত সমস্যায় ঘরোয়া টোটকা হিসাবে দারুণ কাজ করে থানকুনি। ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং চিনের চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রাচীনকাল থেকেই এই পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয়, থানকুনি পাতা ত্বক এবং চুলের পরিচর্চায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
থানকুনি পাতা ত্বক এবং চুলের কোন কোন উপকারে লাগে?
১) কোলাজেন উৎপাদনে
ত্বক এবং চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল কোলাজেন। চামড়ায় টান টান ভাব বজায় রাখতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে কোলাজেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে কোলাজেন উৎপাদনের হার কমতে থাকে। বাইরে থেকে কোলাজেন দেওয়া ক্রিম মাখার চেয়ে ভিতর থেকে সেই প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলাই ভাল। কোলাজেন সিন্থেসিস প্রক্রিয়ার সাহায্য করে এই থানকুনি পাতা। সপ্তাহে তিন দিন এই পাতার রস খেতেই পারেন। মুখে মাখতে পারলে আরও ভাল।
২) স্ট্রেচ মার্ক থেকে মুক্তি পেতে
ত্বকের পেশি ক্রমাগত সঙ্কুচিত এবং প্রসারিত হওয়ার ফলে ত্বকে স্ট্রেচ মার্ক পড়ে। হঠাৎ ওজন বেড়ে গেলে বা অন্তঃসত্ত্বা হলে শরীরে নানা রকম পরিবর্তন আসে। ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট হলে স্ট্রেচ মার্ক পড়ে। ত্বক আগের মতো টানটান করতে বাড়িয়ে তুলতে পারে থানকুনি পাতা।
৩) চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে
চুলের ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করতে এবং মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। ফলে মাথায় নতুন চুল গজায়। অকালপক্বতা রোধ করে। চুল ঝরে পড়া আটকাতেও সাহায্য করে।