তথ্য গোপন করলে কালো টাকা প্রতিরোধ আইনে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। —প্রতীকী চিত্র।
বিদেশ থেকে আয় অথবা বিদেশে সম্পত্তি থাকলে সেই সংক্রান্ত তথ্য অতি অবশ্যই আয়কর রিটার্নে জানাতে হবে বলে আগেই জানিয়েছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ (সিবিডিটি)। আজ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে তাদের বার্তা, এই সংক্রান্ত তথ্য গোপন করলে কালো টাকা প্রতিরোধ আইনে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। এই ধরনের সম্ভাব্য করদাতাদের ইতিমধ্যেই এসএমএস এবং ই-মেল পাঠাতে শুরু করেছে তারা। পরামর্শ দিয়েছে, যদি ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের আয়কর রিটার্ন আগেই জমা দেওয়া হয়ে থাকে, তবে তাঁরা যেন তা সংশোধন করে নেন। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগ রয়েছে।
শনিবার থেকে এই সংক্রান্ত সচেতনতা কর্মসূচি শুরু করেছে আয়কর দফতর। বিদেশে সম্পত্তি বা আয় বলতে কী বোঝানো হচ্ছে, সে সংক্রান্ত একটি তালিকা বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছে তারা। তার মধ্যে রয়েছে বিদেশে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার মতো চুক্তি, কোনও সংস্থা বা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা, স্থাবর সম্পত্তি, শেয়ার বা ঋণপত্রে লগ্নি, অছি পরিষদের সদস্যপদ এবং মূলধনী সম্পদ। বলা হয়েছে, নাগরিকের আয় যদি করের সীমার নীচে হয়, তা হলেও এই তথ্য রিটার্নে জানাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সিবিডিটি জানিয়েছে, তথ্য আদান-প্রদান সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক চুক্তির ফলে এখন বিভিন্ন দেশ থেকে নাগরিকদের সম্ভাব্য বিদেশি সম্পদের হিসাব জানতে পারে আয়কর দফতর। ফলে চিহ্নিত করা যাচ্ছে বড় অঙ্কের বিদেশি সম্পদের মালিকদের। তার ভিত্তিতেই করদাতাদের বার্তা পাঠানো শুরু। আপাতত তা পাঠানো হচ্ছে যাঁরা রিটার্ন জমা দিয়েছেন তাঁদের।