ত্বকের একাধিক রোগ নিরাময় করারও ক্ষমতা রয়েছে বেলের। ছবি: সংগৃহীত।
গরমের সময়ে ঠান্ডা ঠান্ডা বেলের শরবত। প্রাণ জুড়িয়ে যায়! তাপপ্রবাহের অস্বস্তি, রোদের জ্বালাপোড়া ভাব, সব দূর করে দিতে পারে বেল। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই বেল পেটে পড়লে যে চুল ও ত্বকও ঔজ্জ্বল্য ফিরে পায়, তা কি জানতেন?
বেলে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে, এটি ত্বকের সংক্রমণের রুখে দিতে পারে। ত্বকের একাধিক রোগ নিরাময় করারও ক্ষমতা রয়েছে বেলের। চুলেরও অনেক রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে এই ফলটি।
ত্বকের জন্য বেল কেন জরুরি?
ত্বকের র্যাশ দূর করে
বেল গাছের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি অর্থাৎ প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে বলে তা ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য খুব কার্যকরী। কেবল ফলটি নয়, বেল পাতা ও বেলের তেল ক্ষতিকারক ছত্রাককে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ফলে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচে ত্বক। বেল ফল ত্বকের র্যাশ এবং চুলকানি কমাতেও সাহায্য করে।
ত্বকে প্রদাহ নাশ করে
বেল ফল, শিকড়, গাছের খোসা, পাতা এবং ফলের অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং প্রদাহনাশক গুণাবলি ত্বকের উপকারী। ত্বকে লাল ভাব দেখা দিলে অথবা ফুলে গেলে বেল খেতে পারেন। এ সব সমস্যা সারিয়ে দিতে পারে এই ফল।
প্রাচীন কাল থেকেই চুলকে মজবুত করতে বেল ফলের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে
বেলের রসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে বলে বেল খেলে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে, পাশাপাশি, বয়সের ছাপও খুব দ্রুত পড়ে না।
চুলের জন্য বেলের উপকারিতা:
সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে তো অবদান রয়েছেই। তবে প্রাচীন কাল থেকেই চুলকে মজবুত করতে বেল ফলের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। বেল গাছের অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্যের ফলে ফলিকিউলাইটিস, চুলকানি এবং খুশকির মতো মাথার ত্বক এবং চুলের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিয়ে চুলের ফলিকলগুলিকে সক্রিয় করে তোলে। মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মজবুত করে চুলকে। স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিক করে, আর এর ফলে মানসিক চাপের কারণে চুল পড়ার সমস্যা থেকে অনেকখানি মুক্তি পাওয়া যায়।