শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ত্বকে কালচে দাগ পড়ে। ছবি- সংগৃহীত
নিয়মিত বাইরে বেরোন যাঁরা, তাঁদের মুখে সরাসরি এসে পড়ে সূর্যের ক্ষতিকারক তীব্র রশ্মি। দীর্ঘ দিন ধরে এই রশ্মি ত্বকে এসে পড়ার ফলে মুখে দাগছোপ, মেচেতার মতো সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সাধারণ ফেসওয়াশ বা সাবান দিয়ে মুখ ধুলে তা যাওয়ারও নয়। বেশির ভাগ বাজার চলতি ক্রিম বা প্রসাধনীতে রাসায়নিক থাকে। তাই দীর্ঘ দিন সে সব ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকতে বলেন চিকিৎসকরা।
অনেকেই আবার নামী-দামি সালোঁয় গিয়ে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক চিকিৎসাও করেন। কিন্তু সেই সব কিছুরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বক থেকে কোনও রকম দাগ বা ছোপ তোলার আগে জেনে নেওয়া দরকার, তা কী কী থেকে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
১) রোদের তীব্রতা
এক এক জনের গায়ের রং এমনিতেই এক এক রকম হয়। যাঁদের ত্বকে তুলনামূলক ভাবে কম মেলানিন রয়েছে, তাঁদের ত্বকে সহজেই রোদে পোড়ার দাগ পড়ে যায়।
২) জলের ঘাটতি
শরীরে জলের অভাব ঘটলে ত্বক আর্দ্রতা হারায়। শুষ্ক, ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে কালো ছোপ বা দাগ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই প্রথম থেকেই ত্বককে আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন।
৩) শারীরিক জটিলতা
দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগলে ত্বকে ‘মেলানিন’ উৎপাদনের হার অনেকটাই বেড়ে যায়। ফলে ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে। এ ছা়ড়া হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও ত্বকে কালচে দাগ পড়ে।
আয়ুর্বেদে দাগ, ছোপ কমানের উপায় আছে কি?
রাসায়নিক দেওয়া প্রসাধনী ব্যবহার না করে, একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকেই ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে দাগছোপ কমানো সম্ভব।
কী কী ব্যবহার করে ত্বকের কালচে ছোপ দূর করা যায়?
টম্যাটো বাটা
সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা দূর করতে টম্যাটো অব্যর্থ। প্রতিদিন স্নানের আগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট টম্যাটোর রস মুখে মেখে রাখুন দাগ একেবারে উধাও হয়ে যাবে।
হলুদের প্যাক
১ চামচ দই, ১ চামচ বেসন এবং আধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে মেখে রাখুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মুসুর ডালের প্যাক
প্রতিদিন স্নানের আগে সামান্য পরিমাণ মুসুর ডাল বাটা মুখে মেখে রাখুন। মুখে কালো দাগছোপ তো দূর হবেই, সঙ্গে ব্রণও কমবে।