গয়নার ভারে কে বেশি ঝুঁকলেন? নীতা না কি টিনা? ছবি: সংগৃহীত।
অম্বানীদের বাড়ির বড় বৌ নীতা অম্বানী সব সময়েই চর্চার কেন্দ্রে থাকেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সাজগোজ— সব কিছু নিয়েই চলে বিস্তর আলোচনা। সেই হিসাবে দেখতে গেলে বাড়ির ছোট বৌ টিনা অম্বানী প্রচার থেকে দূরেই থাকেন। অথচ অনিল অম্বানীর স্ত্রী টিনার জীবনও কম বর্ণময় নয়। বলিউড অভিনেত্রী থেকে অম্বানী পরিবারের বধূ। ১৯৯১ সালে শেষ বার মুক্তি পায় টিনার ছবি। তার পর রুপোলি পর্দাকে চিরতরে বিদায় জানিয়েছেন। এখন তাঁর প্রধান পরিচয় অম্বানীদের বাড়ির বৌ। তবে টিনাকে ছোট ছেলের বৌ করে আনতে একেবারেই রাজি ছিলেন না ধীরুভাই অম্বানী এবং কোকিলাবেন। শেষ পর্যন্ত ছোট ছেলে অনিলের জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। ১৯৯২ সালে অম্বানীদের বাড়িতে বৌ হয়ে আসেন টিনা।
অনিল-টিনার প্রায় ৩২ বছরের দাম্পত্য। দুই ছেলে, বৌমা নিয়ে ভরা সংসার তাঁদের। বড় জা নীতার মতো ঘর এবং বাইরে একসঙ্গে সামলাতে দেখা যায় না টিনাকে। নীতা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মালিক, ‘নীতা মুকেশ অম্বানী কালচারাল’ সেন্টারের কর্ণধার, পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অন্য দিকে, টিনা শুধু সংসার সামলান। বাড়ির বড় বৌয়ের সঙ্গে ছোট বৌয়ের কোনও মিল খুঁজে পান না অনেকেই। তবে একটা বিষয়ে একে-অপরকে পাল্লা দেন দুই জা। নীতার রত্নভান্ডারের কথা এত দিনে অনেকেই জেনে গিয়েছেন। সে দিক থেকে কম যান না টিনাও। তাঁর গয়নার সম্ভারও কম চোখধাঁধানো নয়। টিনার স্ত্রীধনে কী কী গয়না রয়েছে?
পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠান ছাড়া টিনাকে প্রকাশ্যে খুব কমই দেখা যায়। তবে যখনই ধরা দেন নিজেকে হিরে-জহরতে মুড়েই রাখেন। বেশ কয়েক মাস আগে অনিল-টিনার একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিতে টিনার গলাজোড়া হিরের হার অনেকেরই নজর কেড়েছে। কানে হিরের লম্বা দুল আর টিকলি— হিরের দ্যুতিতে এই বয়সেও তিনি ঝলমল করছেন।
চড়া মেক আপ কিংবা বেশি সাজগোজ করতে একেবারেই ভালবাসেন না তিনি। তবে নানা ধরনের গয়না তাঁর সবচেয়ে পছন্দের। কুন্দন এবং হিরে মেশানো একটি চোকার পরতে দেখা গিয়েছিল টিনাকে। হিরে যে তাঁর পছন্দের রত্ন, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। বেশির ভাগ সময়ে টিনাকে হিরের গয়না পরতে দেখা যায়। তবে প্রতি বারই নতুন নতুন হার শোভা পায় তাঁর গলায়। বড় ছেলের বিয়ের সময়ে দু’থাকের হিরের হার আর মাঙ্গটিকায় সেজে নতুন বৌকেও পাল্লা দিয়েছিলেন টিনা।