Ageing Process

শুধু বয়স হলেই কি ত্বক বুড়িয়ে যায়? না কি তার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে?

বয়স বাড়লে ত্বকের কোলাজেন বা নিজস্ব প্রোটিন উৎপাদনের হার কমতে থাকে। যে কারণে চামড়া ঝুলে যায়, বলিরেখা পড়ে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৩৯
All you need to know the steps to slow down the process of ageing

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।

বয়স হলে তার ছাপ চোখে-মুখে এসে পড়বে। কিন্তু সেই বয়সে পৌঁছনোর আগেই যদি ত্বকের বেহাল অবস্থা হয়, তার দায় কার? ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, বয়স বাড়লে ত্বকের কোলাজেন বা নিজস্ব প্রোটিন উৎপাদনের হার কমতে থাকে। যে কারণে চামড়া ঝুলে যায়, বলিরেখা পড়ে। গালে কালচে ছোপ বা মেচেতার সমস্যাও কিন্তু বুড়িয়ে যাওয়ার আরও একটি লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়াও ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার পিছনে আরও কয়েকটি কারণ থাকতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী কী।

Advertisement

ঠিক কী কারণে ত্বকের বয়স বৃদ্ধি পায়?

১) বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনের হার কমতে থাকে। যার ফলে চামড়া ঝুলে যায়। আগের মতো সেই টান টান ভাবটা একেবারেই থাকে না। ত্বকে বলিরেখা, কালচে দাগছোপ পড়তে থাকে।

২) ত্বকের নিজস্ব প্রোটিনের অভাবে চামড়া পাতলা হতে শুরু করে। ত্বকে আর্দ্রতাজনিত সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। দিনে দিনে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়।

৩) ত্বকে সরাসরি অতিবেগনি রশ্মি লাগলেও ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি ত্বকের ‘ডিএনএ’ নষ্ট করে দেয়। যে কারণে বয়সজনিত সমস্যাগুলি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

৪) বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যও বিঘ্নিত হয়। মেনোপজ় বা রজোনিবৃত্তির কারণেও কিন্তু ত্বক বুড়িয়ে যায়। চোখ, ঠোঁটের চারপাশে বলিরেখা পড়ে।

৫) কম ঘুমোনো, তেলমশলা-যুক্ত খাবার খাওয়া, ধূমপান কিংবা মদ্যপানের অভ্যাসেও ত্বকের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। চামড়ার টান টান ভাব উধাও হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।

কী ভাবে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখবেন?

১) বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখতে হবে। বেশি ক্ষণ বাইরে থাকতে হলে ‘এসপিএফ’-এর মান বেশি হওয়া প্রয়োজন।

২) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে হলে ভিটামিন সি, ই এবং হায়ালুরনিক অ্যাসিড-যুক্ত প্রসাধনী মাখতে হবে। তাতে ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন বা কোলাজেন উৎপাদনের মান বৃদ্ধি পাবে। বলিরেখা, কালচে দাগছোপ দূর হবে সহজেই।

৩) ত্বক ঝলমলে রাখতে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনাও জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পর্যাপ্ত জল খাওয়া, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা কিংবা পর্যাপ্ত ঘুমেরও প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement