Indus Water Treaty

সিন্ধু জল চুক্তি: ভারতের অবস্থানে সিলমোহর

জম্মু-কাশ্মীরের কিসানগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ ২০১৫ সালে দু’টি প্রকল্পের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের আবেদন করেছিল।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ০৬:৪৫

— প্রতীকী চিত্র।

সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বিবাদে বড় সাফল্য পেল ভারত। জল চুক্তি নিয়ে যে বিষয়গুলি নিয়ে বিবাদ ছিল, তাতে ভারতের পক্ষেই রায় দিয়েছেন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ। এটা পাকিস্তানের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রক ওই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ভারত ধারাবাহিক ভাবে নীতিগত অবস্থান বজায় রেখেছে। বার বার বলে এসেছে, জল চুক্তি নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তার সমাধান একমাত্র নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমেই সম্ভব।

Advertisement

জম্মু-কাশ্মীরের কিসানগঙ্গা এবং রাতলে জলবিদ্যুৎ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদ ২০১৫ সালে দু’টি প্রকল্পের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের আবেদন করেছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে একতরফা ভাবে তা প্রত্যাহার করে এবং সালিশি আদালতের আবেদন করে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের রায় ভারতের পক্ষে যাওয়ার পরে বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তির অ্যানেক্সচার এফ-এর অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের দেওয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। এই সিদ্ধান্তটি ভারতের অবস্থানকে সমর্থন ও সঠিক প্রমাণ করে যে কিসানগঙ্গা ও রাতলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত যে সাতটি প্রশ্ন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছিল, তা ওই চুক্তির অধীনে পড়ে’।

একই সঙ্গে মন্ত্রক জোর দিয়ে বলেছে, নয়াদিল্লির একটি ধারাবাহিক এবং নীতিগত অবস্থান রয়েছে। নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞই একমাত্র ব্যক্তি যিনি চুক্তির এই পার্থক্যগুলি নির্ধারণ করার ক্ষমতা রাখেন। মন্ত্রক আশা প্রকাশ করেছে, পরবর্তী পর্যায়ে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন