খাবার হজমে সমস্যা হয়? ছবি: সংগৃহীত।
পরের দিন ছুটি থাকলে আগের রাতে খাওয়াদাওয়াটা একটু জমিয়ে করতেই হয়। আয়েশ করে খাওয়ার পর অনেকেই আর বসে থাকতে পারেন না। বিছানায় গা এলিয়ে দিতে চান। অনেকেই জানেন, এই অভ্যাস ঠিক নয়। খাবার হজমে সমস্যা হয়। সারা রাত গলা, বুক জ্বালা করে। চিকিৎসকদের মতে, এই অভ্যাসের জন্যই নাকি জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগ বেড়ে চলেছে বেশির ভাগ মানুষের। সারা দিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে শরীরচর্চা যদি করতে না-ই পারেন, প্রতি দিন খেয়ে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করা যেতেই পারে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সামান্য হাঁটাহাটি করলেই যদি অনেক রোগ বশে রাখা যায়, তা হলে ওষুধনির্ভর জীবন বেছে নেবেন কেন?
১) হজম ভাল হয়
খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাটি করলে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক জুস ক্ষরণ হয়। ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। পাশাপাশি পেটফাঁপা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
২) বিপাকহারে উন্নতি
বিপাকহার ভাল হলে তার প্রভাব পড়ে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে। ওজন ঝরানোর জন্যেও বিপাকহার ভাল হওয়া প্রয়োজন। খাওয়াদাওয়ার পর হাঁটাহাটি না করলে বিপাকহারের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
৩) প্রতিরোধ গড়ে ওঠে
খাওয়ার পর হাঁটাহাটির অভ্যাস করলে হজম ভাল হয়। যা শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। যা শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও মজবুত করে তোলে।
৪) অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়
রাতে যদি ঘুম না আসে, মোবাইলে সিরিজ় না দেখে দু’রাউন্ড ছাদে পাক খেয়ে আসুন। খোলা আকাশের নীচে, হাওয়ায় একটু হাঁটাহাটি করলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হয়।
৫) রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে
রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে রাতে খাওয়ার পর হাঁটাহাটির অভ্যাস করুন। এই অভ্যাস রক্তে থাকা অতিরিক্ত গ্লুকোজ় ভাঙতে সাহায্য করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমে।