ডিম রাঁধুন নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।
আচমকা বাড়িতে অতিথি এসে পড়েছেন, কী খেতে দেবেন, ভেবে না পেলে ডিম দিয়েই হয়ে যায় মুশকিল আসান! কাঁচালঙ্কা আর কুঁচো পেঁয়াজ দিয়ে অমলেট, না হয় ডিমের পকোড়া আর গরম চা। ব্যস, আর কী চাই! বাড়িতে মাছ, মাংস না থাকলে ডিমের ডালনা, ডিমের ধোকা কিংবা ডিম পোস্ত করে নিলেই ভাতের থালা একেবারে সাফ! প্রাতরাশ বানানোর সময় না পেলে একটা ডিম টোস্ট বানিয়েই অফিসের জন্য বেরিয়ে পড়লেন, পেটও ভরল আর খুব বেশি সময়ও লাগল না। বাঙালির হেঁশেলে ডিম থাকবেই থাকবে। তবে এই ডিম রান্নার সময়ে অজান্তেই আমরা কিছু ভুল করে ফেলি, জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) রোজের রান্নায় ডিম বেশি লাগে বলে অনেকেই বাড়িতে ডজন ডজন ডিম কিনে রাখেন। তবে ফ্রিজে ভরে না রাখলে কিন্তু ডিমগুলি খারাপ হতে খুব বেশি সময় লাগে না। অনেক সময়ে রান্না করতে গিয়ে একটা ডিম পচা বেরিয়ে যায়। তাই বাজার থেকে কিনে আনার পর একটি বড় গভীর কড়াইয়ে জল নিয়ে ডিমগুলি ডুবিয়ে রাখুন। যে ডিমগুলি জলের উপরে ভাসবে, সেইগুলি আদতে পচা, ব্যবহার না করাই ভাল।
২) বেকিংয়ের সময়ে ডিম ব্যবহার করার সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্রিজ থেকে বার করা ঠান্ডা ডিম ভুলেও ব্যবহার করবেন না। নইলে কিন্তু কেক, কুকিজ় ঠিক মতো বেক হবে না। বেকিংয়ের সময়ে আগে ডিম ফ্রিজ থেকে বার করে রাখুন। ঘরের তাপমাত্রায় এলে তবেই ব্যবহার করুন।
৩) অল্প তেলে ডিমের অমলেট কিংবা পোঁচ রান্নার সময়ে কড়াইতে সেগুলি লেগে যায়। এগুলি রান্নার সময়ে ননস্টিক প্যান ব্যবহার করুন। ডিম সেদ্ধ করার সময় কানা উঁচু পাত্রের ব্যবহার করুন।
৪) ডিম সেদ্ধ করার সময়ে কত ক্ষণ ফোটাবেন তা ঠিক বুঝতে পারা যায় না। মোটামুটি সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিম চাইলে ১০ থেকে ১২ মিনিট ডিম সেদ্ধ করুন। তার পর গরম জলেই ডিমগুলি খানিক ক্ষণ রেখে দিন। ভাপেই সেগুলি সেদ্ধ হয়ে যাবে। বেশি ক্ষণ ধরে জলে ফোটালে কুসুমের স্বাদ বিগড়ে যায়।