ব্রণের সমস্যা বাড়বে ঘুমোনোর সময়ে কোন অনিয়মে? ছবি: সংগৃহীত।
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা সারা বছর ব্রণের সমস্যায় ভোগেন। ব্রণ হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। কম বয়সেও হতে পারে, আবার বয়স বাড়লেও ব্রণ হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থেকে যায়। শরীরে জলের ঘাটতি, রোজ রোজ রেস্তরাঁর তেলমশলাদার খাবার খাওয়ার প্রবণতা, হরমোনজনিত বিভিন্ন সমস্যার কারণে ব্রণ হতেই পারে। এ ছাড়া, ত্বকের পরিচর্যা ঠিক মতো না করার কারণেও ব্রণ হয়। তবে এগুলি ব্রণ হওয়ার একমাত্র কারণ নয়। অনেক সময়েই কিন্তু ঘুমোনোর সময়ে নানা অনিয়মের কারণে ব্রণ হয়। জেনে নিন, ঠিক কোন কোন ভুলের কারণে কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ব্রণের সমস্যা।
মেক আপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়া: রাতে বাড়ি ফিরতে যতই দেরি হোক না কেন, আপনি যতই ক্লান্ত হয়ে পড়ুন না কেন, ঘুমোনোর আগে মেকআপ না তুলে শোবেন না। মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে সকালে উঠে দেখবেন ত্বকে আরও পাঁচটা ব্রণ বেরিয়েছে। রূপটানের প্রয়োজনীয় প্রসাধনীতে নানা রকম রাসায়নিক উপাদান থাকে। যেগুলি ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। ব্রণর হাত থেকে রেহাই পেতে চাইলে চাইলে যতই ক্লান্ত থাকুন, মেকআপ না তুলে ভুলেও ঘুমোতে যাবেন না।
বালিশের ঢাকনা বদল না করা: ব্রণ হতে পারে বালিশের ঢাকনা থেকেও। অপরিষ্কার বালিশের ঢাকনা থেকেই হতে পারে ব্রণ। বালিশের ঢাকনা হল জীবাণুর আতুঁড়ঘর। মুখের ক্রিম, লালা, চোখের জল সবই বালিশের ঢাকনা শোষণ করে নেয়। এর থেকে নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। ঘুমোনোর সময়ে বালিশের ঢাকনার সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ হয়। আর তা থেকেই হয় ব্রণ। তাই প্রতি সপ্তাহে বালিশের ঢাকনা বদলানো জরুরি।
রাতে চুলে তেল মেখে ঘুমোনো: অনেকেই রাতে চুলে তেল মেখে ঘুমোতে যান। এই অভ্যাসের কারণেও কিন্তু ব্রণ হয়। চুলে তেল দিলে মাথার ত্বকে অতিরিক্ত পরিমাণ সিবাম উৎপাদন হয়। সিবাম কিন্তু ত্বকে ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। ব্রণের ঝুঁকি কমাতে রাতে নয়, শ্যাম্পু করার দু’ঘণ্টা আগে চুলে তেল মাখুন।
অপরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছা: রাতে ঘুমোনোর আগে মুখ ধুয়ে যে তোয়ালেতে মুখ মুছছেন, সেটি আদৌ পরিষ্কার তো? মুখ মোছার জন্য সব সময়ে পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করবেন। কারণ এতে লেগে থাকা ময়লা থেকে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে।