Job satisfaction

ছোট খাট আনন্দ! ১৫ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরে বিনামূল্যে চা-কফির ব্যবস্থা করে বলল অফিস

সংস্থার পাঠানো মেলে স্পষ্ট, দীর্ঘ ছাঁটাই পর্বে কর্মীদের উপর যে মানসিক চাপ পড়েছে, তা লঘু করতেই ওই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে খবরটা শুনে অনেকেই মনে করছেন, ওই পদক্ষেপ করার জন্য সংস্থা আরও কিছু দিন সময় নিলে পারত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৩৮

—ফাইল চিত্র।

সবে শেষ হয়েছে ছাঁটাই পর্ব। চাকরি হারিয়েছেন সংস্থার ১৫ হাজার কর্মী। যাঁরা রয়ে গেলেন তাঁদের জন্য বিনামূল্যে চা-কফির ব্যবস্থা করল সংস্থা। একটি মেল মারফৎ সেই খবর কর্মীদের জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘‘জীবনে ছোট খাট আনন্দের গুরুত্ব অপরিসীম।’’

Advertisement

বহুজাতিক চিপ প্রস্তুতকারী সংস্থা ইন্টেল অগস্টেই নোটিস দিয়েছিল কর্মীদের। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছিলেন, সংস্থাটি ক্ষতির মধ্যে দিয়ে চলেছে। তাই খরচ কমাতে ১৫ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। সেই ঘোষণার পর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ছাঁটাই প্রক্রিয়া চলেছে। প্রতিদিনই কারও না কারও মেল বক্সে এসে হাজির হত বিদায়বার্তা। শেষে নভেম্বরে থিতু হয়েছে পরিস্থিতি। তার পরেই বাকি কর্মীদের জন্য বিনামূল্যে চা-কফির বন্দোবস্ত করেছে ইন্টেল। যা দেখে অবাকই হয়েছেন চাকরি না-হারানো ইন্টেলের কর্মীরা।

সংস্থার পাঠানো মেলে স্পষ্ট, দীর্ঘ ছাঁটাই পর্বে কর্মীদের উপর যে মানসিক চাপ পড়েছে, তা লঘু করতেই ওই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে খবরটা শুনে অনেকেই মনে করছেন, ওই পদক্ষেপ করার জন্য সংস্থা আরও কিছু দিন সময় নিলে পারত। যদিও মনোবিদেরা বলছেন, পাশের ডেস্ক আচমকা ফাঁকা হয়ে যাওয়ার প্রভাব কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যা পরোক্ষে প্রভাবিত করতে পারে সংস্থার কাজেও। তাই সংস্থার ওই পদক্ষেপের নেপথ্যে যে কর্মীদের মানসিক চাপ কমানোর একান্ত চেষ্টা রয়েছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই।

তবে ইন্টেলের কর্মীরা জানাচ্ছেন, বিনামূল্যে চা-কফির বন্দোবস্ত আগেও ছিল। খরচ কমানোর জন্য গত প্রায় এক বছর তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিনামূল্যে কর্মীদের ফল খাওয়ানোর ব্যবস্থাও। ছাঁটাই পর্বের পরে চা-কফি চালু হলেও কর্মীদের ফল বিতরণ নতুন করে শুরু করেনি ইন্টেল।

আরও পড়ুন
Advertisement