জয়দীপ অহলাওয়াট। ছবি: সংগৃহীত।
নেটফ্লিক্সের নতুন ছবি ‘মহারাজ’। যার মুখ্যচরিত্রে দেখা গিয়েছে অভিনেতা জয়দীপ অহলাওয়াটকে। পর্দায় রাজার চরিত্রে তাঁর নিখুঁত অভিনয় ইতিমধ্যেই দর্শকের মন কেড়েছে। তবে তার চেয়েও বেশি চর্চা চলছে জয়দীপের বাহ্যিক চেহারার পরিবর্তন নিয়ে। ছবিটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন পর্দার জয়দীপের সঙ্গে মাস ছয়েক আগের জয়দীপের কোনও মিল নেই। অভিনেতার চেহারায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। কয়েক মাস আগেও অভিনেতা যখন প্রকাশ্যে এসেছিলেন, এমন মেদহীন, ছিপছিপে ছিলেন না। পর্দায় নতুন রূপে জয়দীপকে দেখে, তাই খানিকটা অবাক হয়েছেন অনেকেই। সেই সঙ্গে মনে একটা কৌতূহলও কাজ করছে, কী ভাবে নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেললেন অভিনেতা? এত কম সময়ে কোন জাদুকাঠির ছোঁয়ায় ঝরিয়ে ফেললেন ওজন দর্শক এবং অনুরাগীদের মনে জন্ম নেওয়া প্রশ্ন এবং কৌতূহলের উত্তর নিজেই দিয়েছেন অভিনেতা। সোমবার ইনস্টাগ্রামে পাঁচ মাস আগের এবং পরের দু’টি ছবি দিয়েছেন তিনি। সেই ছবি দু’টি বলে দিচ্ছে, মাঝের সময়পর্বে কঠোর নিয়ম আর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন।
১০৯ কেজি ওজন ছিল জয়দীপের। ৫ মাসের মধ্যে ২৬ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন তিনি। এখন তাঁর ওজন ৮৩ কেজি। পাঁচ মাস আগের ছবিতে জয়দীপের মধ্যপ্রদেশ স্থূল ছিল। চেহারা ছিল মেদবহুল। তবে তাঁর নতুন রূপ একেবারে আলাদা। ভুঁড়ি উধাও। মেদহীন, পেশিবহুল চেহারা। যেমন চেহারা পাওয়ার জন্য রীতিমতো সাধনা করেন পুরুষেরা। ডায়েট থেকে শরীরচর্চা— চেষ্টার কোনও খামতি থাকে না। তবু লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন না অনেকেই। তবে অভিনেতা জানিয়েছেন, জিমে গিয়ে ঘাম ঝরিয়েই রোগা হয়েছেন তিনি। জিম থেকেই নতুন রূপে ছবি তুলে পোস্ট করেছেন তিনি।
চরিত্র অনুযায়ী অভিনেতাদের বাহ্যিক ভাবে বদলে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কখনও ওজন বাড়াতে হয়, কখনও কমাতে হয়। চরিত্রের স্বার্থে চেহারার পরিবর্তন অভিনয়েরই অংশ। অভিনেতারাও অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গেই সেটা করেন। জয়দীপ জানিয়েছেন, নিজেকে বদলে ফেলা সহজ ছিল না। তবে সঠিক পথে পরিশ্রম করলে অসাধ্যসাধন করা যায়। জয়দীপ এই সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন তাঁর জিম প্রশিক্ষক প্রজ্বলকে। অভিনেতা জানিয়েছেন, প্রশিক্ষকের বলে দেওয়া রুটিন এবং নিয়ম মেনেই ওজন ঝরিয়েছেন। তবে ডায়েট নিয়ে বিশেষ কিছু জানাননি অভিনেতা। খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ কোনও নিয়ম মেনেছিলেন কি না, সেই বিষয়টি আড়ালে রেখেছেন।