ফাঁদ পেতে রাখা শিকারিদের চোখ থাকে অ্যাপে। ছবি- সংগৃহীত
হালের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যৌন লালসা চরিতার্থ করতে শিকারিরা তাঁদের জাল বিছিয়ে রাখেন ডেটিং অ্যাপে। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন, এমন ২ হাজার জনের মধ্যে ১৪ শতাংশই প্রথম বার দেখা করতে গিয়েই নিগ্রহের কবলে পড়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন ‘বার্মিংহাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়’-এর গবেষকরা।এ ছাড়া সাম্প্রতিক আরও একটি প্রবণতা ভাবাচ্ছে গবেষকদের। শারীরিক নির্যাতন তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে মানসিক বিকৃতি। এই অদ্ভুত মানসিকতাই দিল্লির আফতাব-শ্রদ্ধার ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে গোটা বিশ্বকে।
ইতিহাস বলছে, এই জাতীয় বিকৃত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সাধারণ, সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষরা নন, বরং মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তিরাই যুক্ত। কোনও ব্যক্তির বিকৃত মানসিকতার কোনও লক্ষণই ধরা পড়ে না ডোটিং অ্যাপে। তাই নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে এই অ্যাপগুলি শিকারীরা হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করে থাকে।
স্কুল পাশ করে সদ্য কলেজে পা রাখা যুবক-যুবতীরাই এই শিকারিদের মূল লক্ষ্য। সম্প্রতি ‘ডেটিং অ্যাপ’–এর নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বিবৃতিতে প্রকাশিত হয়েছে তথ্যটি।যদিও বিশ্বজুড়ে নানা রকম হিংসাত্মক ঘটনার জন্য দায়ী ‘ডেটিং অ্যাপ’গুলিকে আরও সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ সম্পর্কিত বিলের খসড়া রচনা শুরু হয়েছে।