কী বলছে মমির ট্যাটু? —ফাইল চিত্র
এখন নিতম্বের ঠিক উপরেই ট্যাটু করান বহু মানুষ। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এই ধরনের ট্যাটু। নব্বইয়ের দশকের পর থেকে ফ্যাশন দুনিয়ায় খুবই জনপ্রিয়তা পায় এগুলি। তবে গবেষকরা কিন্তু বলছেন, এই ধরনের ছবি অঙ্কনের প্রথা মোটেই নতুন নয়। হাজার হাজার বছর আগে থেকেই রয়েছে এর চল।
সম্প্রতি মিশরের নীল নদের ধার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দু’টি মমি। মিসৌরি ইউনিভার্সিটি ও জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই মমিগুলি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। যে অঞ্চল থেকে সেগুলি পাওয়া গিয়েছে, খ্রিস্টপূর্ব ১৫৫০ থেকে ১০৭০ পর্যন্ত সেই অঞ্চলে দিয়ের এল-মেদিনা নামের একটি জনপদ ছিল বলে জানা যায়। আর এই দু’টি মমিরই নিতম্বের ঠিক উপর দেখা মিলেছে বিশেষ ধরনের ট্যাটুর। গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রাচীন ওই ট্যাটুতে উল্লেখ রয়েছে বেস নামের এক প্রাচীন মিশরীয় দেবতার। অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় এই দেবতা মা ও হবু সন্তানকে রক্ষা করেন বলে মনে করা হত। ফলে গবেষকদের ধারণা, সাজের জন্য নয়, বরং মা ও হবু সন্তানের মঙ্গলকামনার জন্যই করা হত এই ধরনের ট্যাটু।
অবলোহিত বা ইনফ্রারেড প্রযুক্তি ব্যবহার করে মমিগুলি পরীক্ষা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। তখনই দেখা যায় ট্যাটুগুলি। প্রযুক্তি ব্যবহার করেই সেগুলির পুনর্নির্মাণ করা হয়। মমিগুলি আনুমানিক ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সি ব্যক্তির। সব মিলিয়ে ঘাড় থেকে নিতম্বের উপর পর্যন্ত প্রায় তিরিশটি ট্যাটু করা ছিল সেগুলির উপর।