— প্রতীকী চিত্র।
স্কুলপড়ুয়া খুদের মাথায় উকুন হলে মায়েরা পড়েন মুশকিলে। একে তো সন্তানের মাথা থেকে পরিবারের অন্যদের মধ্যে তা ছড়িয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অন্য দিকে, চুলের মধ্যে যদি দীর্ঘ দিন ধরে পরজীবীরা বাস করে, সে ক্ষেত্রে সন্তানের চুল এবং মাথার ত্বকের সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না। তাই সন্তানের মাথা থেকে উকুনের বংশ ধ্বংস করতে তৎপর হয়ে ওঠেন মায়েরাই। তবে অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এক মা এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কন্যার মাথায় উকুন হওয়া সত্ত্বেও তিনি উকুন মেরে ফেলার পক্ষপাতী নন। কেন জানেন?
ওই মায়ের বক্তব্য, যে হেতু তিনি ‘ভেগান’ খাদ্যাভাসে বিশ্বাসী, তাই কোনও ভাবেই প্রাণীহত্যা করতে পারবেন না। ‘ভেগান’ খাদ্যাভাসে বিশ্বাসী যাঁরা, তাঁরা আসলে প্রাণীহত্যার বিরুদ্ধে। মাছ, মাংস তো বটেই, পরোক্ষ ভাবে প্রাণিজ শরীর থেকে আসা কোনও খাবারই তাঁরা খান না। ওই তরুণী বলেন, “নিয়মিত সরু দাঁতের চিরুনি দিয়ে মেয়ের চুল আঁচড়ে বাগানে ছেড়ে দিলে ওরা বেঁচে থাকতে পারে। চুলের ক্ষতি আটকাতে তাদের মাথায় থাকতে না দিলেই হল। প্রাণে মারার তো প্রয়োজন নেই। তা ছাড়া উকুন মারতে বিষাক্ত কোনও ওষুধ দিতেই হয়। আমি আমার মেয়ের মাথার ত্বকে বিষাক্ত কিছু দিতে চাই না।”