সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই মিশেল ছিলেন মনিকার প্রিয় শিক্ষিকা । ছবি- সংগৃহীত
স্কুলে পড়াকালীন সবচেয়ে পছন্দের শিক্ষিকা ছিলেন। তখন ছাত্রী হিসাবে যথেষ্ট স্নেহও পেয়েছিলেন। স্কুল পাশ করার পর আর কোনও যোগাযোগ ছিল না বহু দিন। হঠাৎ সমাজমাধ্যমে সেই শিক্ষিকাকে খুঁজে পেয়ে ১৬ বছর পর প্রেম নিবেদন করলেন সেই ছাত্রী।
মিশিগানের বাসিন্দা বছর ৩১-এর মনিকা কেচম হঠাৎই এক দিন তাঁর প্রিয় শিক্ষিকা মিশেল ফস্টারের খোঁজ করতে শুরু করেন সমাজমাধ্যমে। ২০০৪ সালে স্কুলে পড়ার সময়ে মনিকার বিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন বছর ৫৬-র মিশেল। তিনি কেমন আছেন তা জানতেই ১৬ বছর পর হঠাৎ আবার যোগাযোগ হয়েছিল দু’জনের। মনিকা বলেন, “সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই মিশেল আমার প্রিয় শিক্ষিকা ছিলেন। আর আমি ওঁর খুব কাছের এক জন ছাত্রী ছিলাম। এর বেশি কিছুই ছিল না সে সময়ে।”
মনিকা যে সমকামী, তা জানার পর থেকেই তাঁর পরিবারে নানা রকম অশান্তি হচ্ছিল। প্রিয় পুরনো ছাত্রীর কাছ থেকে হঠাৎ বার্তা পেয়ে প্রথমটায় একটু চমকেই উঠেছিলেন। পর্যায়ক্রমে তাঁরা দুজনেই নিজেদের খারাপ অতীতের কথা ভুলে, শিক্ষিকা-ছাত্রীর বন্ধন ছেড়ে ভাল বন্ধু হয়ে ওঠেন। বেশ কিছু দিন পর তাঁরা বুঝতে পারেন, এই সম্পর্কের জল বন্ধুত্ব পেরিয়ে আরও গভীরে চলে গিয়েছে। বন্ধু, পরিবার এবং চেনাজানা সকলের কটাক্ষের শিকার হয়েও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মনিকা তাঁর পছন্দের শিক্ষিকাকে প্রেমপ্রস্তাব দিয়ে ফেলেন। ফস্টার সেই প্রস্তাব গ্রহণও করেন। কিন্তু সব সম্পর্ক জলের মতো সহজ হয় না। সেই ঘটনার পর থেকে দুজনকেই নানা জায়গায় কটাক্ষের শিকার হতে হয়। কখনও কখনও মিশেলকে এমনটাও শুনতে হয়েছে যে, আজকের এই দিনটির জন্যই মনিকাকে নিজে হাতে শখিয়ে পড়িয়ে নিচ্ছিলেন তিনি। কেউ কেউ আবার তাঁদের মা ও মেয়ে বলেও ভুল করেন। মিশেল বলেন, “আমাদের দুজনের বয়সের যা পার্থক্য, তা নিয়ে আমি প্রথম থেকেই চিন্তিত ছিলাম। নানা ধরনের উপদেশও শুনতে হয়েছে। কিন্তু একসঙ্গে থাকতে গেলে এটুকু সহ্য করতেই হত।”
মিশেল এবং মনিকা, দুজনেরই একটি করে সন্তান আছে। তাদের সঙ্গে নিয়েই আগামী জুনে চারহাত এক হওয়ার দিন গুনছেন তাঁরা।