প্রতীকী ছবি।
বেশির ভাগ বাঙালিরই অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে। কোনও রকম ভাজাভুজি বা ফাস্ট ফুড খেলেই অ্যাসিড রিফ্লাক্স তৈরি হয়। পেটের অ্যাসিডিক রসগুলি যখন খাদ্যনালীতে প্রবেশে করে উপরের দিকে উঠে আসে, তাকেই অ্যাসিড রিফ্লাক্স বলে। কী করে বুঝবেন? লক্ষণগুলি জেনে নিন
১। গলার কাছে কিছু একটা দলা পাকিয়ে থাকার অনুভূতি
২। গলা জ্বালা বা বুক জ্বালা
৩। বার বার ঢেকুড় তোলা
৪। মুখ দিয়ে হজম না হওয়া খাবারের গন্ধ বেরোনো
কী করে কমাবেন অ্যাসিডিটির প্রবণতা
ওজন: অতিমারিতে বাড়ি বসে বসে অনেকের ওজন বেড়ে গিয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্থূলতার সঙ্গে অ্যাসিডিটির প্রবণতার একটি যোগ রয়েছে। তাই আপনার উচ্চতা অনুযায়ী যা ওজন হওয়া উচিত, চেষ্টা করুন সেটাই বজায় রাখতে
শরীরচর্চা: বাড়ি থেকেই কাজ করার চক্করে অনেকের শারীরিক পরিশ্রম খুবই কমে গিয়েছে। হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি ভাঙার মতো পরিশ্রম না করলে অ্যাসি়ডিটির প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই প্রত্যেক দিন নিয়ম করে অন্তত ৩০ মিনিট কোনও রকম শরীরচর্চা করুন। যোগাসন বা ফ্রি-হ্যান্ড কার্ডিয়ো চলতে পারে। ছাদে বা রাস্তায় হাঁটতে পারেন। এমনকি নাচ বা জুম্বা— যেটা আপনার পছন্দ করতে পারেন।
ধূমপান: ধূমপান করলে অ্যাসিডিটির প্রবণতা বাড়বেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে তামাকের কারণে অ্যাসিডিক খাবার খাদ্যনালী থেকে নামতে আরও দেরি হয়। তাই শুধু ফুসফুসে ক্যানসার নয়, অ্যাসিডিটির কারণও ধূমপানই।
সোডা জাতীয় পানীয়: অনেকের অভ্যাস খাওয়ার পর কোনও ধরনের বোতলের ঠান্ডা পানীয় খেয়ে নেওয়ার। বিশেষ করে বিরিয়ানির মতো ভারী খাবার খাওয়ার পর তো বটেই। তাঁরা মনে করেন সোডা শরীরে গেলে ঢেকু়ড় উঠে গ্যাস বা অম্বলের সম্ভাবনা কমবে। কিন্ত গবেষণা বলছে, আদপে বিষয়টা উল্টো। ক্যাফিনেটেড বা সোডাজাতীয় পানীয় খেলেই অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ডায়েট: তেলমশলা দেওয়া রান্না খাবেন না। মাঝে মাঝে যদি ভাজাভুজি খেয়েও সুস্থ থাকতে চান, তা হলে রোজকার খাবার একটু সাধারণ খাওয়াই ভাল। খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর শাক-সব্জি অবশ্যই রাখবেন। তবে কাঁচা স্যালাড খাবেন না। সব্জি ভাপিয়ে বা সিদ্ধ করে খান