প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বর্ষায় নানা রকম পেটের গোলমাল লেগেই থাকে। খুব বেশি পেটের সমস্যা হলে শরীর থেকে অনেক জল বেরিয়ে যায়। তাই নুন-চিনির জল সারা দিন ধরে খাওয়া প্রাথমিক কাজ। কিন্তু খাবার না খেলে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। কড়া ওষুধও খালি পেটে সহ্য হবে না। কিন্তু মুশকিল হল পেট খারাপ হলে কোন ধরনের খাবার খেলে পেট আরও খারাপ হয়ে যাবে না, সেটাই অনেকে বুঝতে পারেন না। সাধারণত বিভিন্ন চিকিৎসক যা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, সেই অনুযায়ী পাঁচটি খাবারের একটি তালিকা বানিয়ে দেওয়া হল।
কলা
কলাকে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড বলে। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় পেটের যা পেটের জরুরি রস উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। তাতে পেটে কোনও রকম প্রদাহ কমানোর শক্তি থাকে। কলা খেলে এনার্জিও পাবেন। তাতে পেটের খারাপের দুর্বলতা একটু কমবে।
আদা চা
পেটখারাপের পাশাপাশি পেটে ব্যথা, বমি ভাব এবং গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা লেগেই থাকে। আদা এসব থেকে রেহাই দিতে পারে। গরম জলে আদা কুচিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্বাদ অনুযায়ী লেবু আর মধু দিয়ে ছেঁকে নিয়ে খান। শরীরের কোনও রকম প্রদাহ হলেও আদা দারুণ কাজ দেয়।
দই ভাত
পেট খারাপের মধ্যে এর চেয়ে ভাল খাবার আর হয় না। পেট ঠান্ডা রাখে। এবং হজমের গোলমাল মেটানোর জন্য দইয়ের প্রোবায়োটিক গুণ দারুণ উপকার দেয়। সাধারণ ভাত ডালের তুলনায় অনেক সহজে হজমও হয়ে যায়।
কমবুচা
কমবুচা এক ধরনের চা যা এখন অনেক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পাওয়া যায়। অনলাইনে আরও বেশি সহজে পেয়ে যাবেন। পেট খারাপ হলে কমবুচা খেলে আরাম পাবেন। পেটের অস্বস্তিও কমবে। তবে একবারে এক গ্লাস ঢকঢক করে খেয়ে না ফেলে ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে খান।
ওটস
মশলা দিয়ে নোনতা ওটস না খেয়ে এই সময় মিষ্টি ওটস খেলে উপকার পাবেন। কলা দিয়ে মেখে খেতে পারেন। সামান্য দুধ আর জলে ফুটিয়ে নেবেন। যাঁদের দুধে সমস্যা তারা বাদাম থেকে তৈরি দুধ বা যে সোয়ার দুধ ব্যবহার করতে পারেন। বেরি জাতীয় ফল বা ড্রাই ফ্রুট দিয়ে খেলে অসুবিধা হবে না।