Death

বেড়াতে এসে অস্বাভাবিক মৃত্যু দেড় বছরের শিশুর, একরত্তির শরীরে পাওয়া গেল মাদক

ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন দম্পতি। সেখানেই মাদকের প্রভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় দেড় বছরের শিশুর।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩ ১৩:২৩
একরত্তি মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

একরত্তি মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। ছবি: সংগৃহীত।

চার ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ছুটি কাটাতে ফ্লোরিডায় এসেছিলেন দম্পতি। ‘এয়ারবিএনবি’-তে একটি ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই একরত্তি মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

লাইডি এবং বরিস ল্যাভেনির নামের ওই দম্পতির চার সন্তান। প্রথম তিন জন স্কুলে পড়ে। সবচেয়ে ছোট একরত্তি ইনোরার বয়স দেড় বছর। পরীক্ষা শেষে স্কুলে ছুটি পড়ায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে কয়েক দিনের জন্য অন্য পরিবেশে কাটিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। সেই মতো ফ্লোরিডায় তিন তলা একটি বাড়ি ভাড়া করে কিছু দিনের জন্য আস্তানা পেতেছিলেন।

Advertisement

ছোট হলেও ইনোরা তার দাদা-দিদিদের সঙ্গে থাকতেই ভালবাসত। লাইডিও চার জন একসঙ্গে থাকলে নিশ্চিন্তে থাকতেন। এক দিন সকালে দোতলায় কাজ করছিলেন তিনি। নীচের ঘরে ইনোরা ঘুমোচ্ছিল। বাকিরা বারান্দায় খেলা করছিল। অনেক বেলা হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ইনোরা ঘুম থেকে উঠছে না দেখে লাইডি নীচের ঘরে চমকে যান। দেখেন ইনোরার ঠোঁট এবং মুখ নীলবর্ণ হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সে ফোন করেন দম্পতি। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স যত ক্ষণ আসে, তত ক্ষণে ইনোরার শরীর হিম হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাকে। কিন্তু মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিকিৎসকরা জানান, শরীরে মাদক পাওয়া গিয়েছে। মাদকের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল, যে কোনও ভাবেই বাঁচানো সম্ভব হত না।

এতটুকু বাচ্চার শরীরে কী ভাবে মাদক এল, বুঝতে পারছে না কেউই। হাসপাতাল থেকে ওই দম্পতির পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, তাঁদের শরীরে কোনও মাদকের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। যে ঘরে ইনোরা ঘুমোচ্ছিল, সেখানেও সন্ধান চালিয়ে কোনও মাদক পাওয়া যায়নি। ওই বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন দম্পতি। কিন্তু বাড়ির মালিকও স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে কোনও দিন মাদক আসেনি। তবে প্রতিবেশীদের তরফে জানা গিয়েছে, এর আগে অন্য একটি পরিবার এখানে ছিল। চলে যাওয়ার আগে একটি পার্টি দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে মাদকের কোনও ব্যবস্থা ছিল কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। শিশুর শরীর পর্যন্ত কী ভাবে মাদক পৌঁছল, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে দম্পতির অনুমতি পেলে শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত করে দেখা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Advertisement
আরও পড়ুন