Yogi Adityanath

মোদীর পর তিনিই বিজেপির প্রধানমন্ত্রিত্বের মুখ? আদিত্যনাথ জবাব দিলেন, ‘আমি যোগী, পূর্ণ সময়ের রাজনীতিক নই’

নরেন্দ্র মোদীর পরে বিজেপির ‘শীর্ষনেতা’র আসনটি কার জন্য বরাদ্দ হবে, তা নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনায় রয়েছে দু’জনের নাম। অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪৫
Yogi Adityanath says, politics not my full-time job, dismisses reports of differences with BJP central leaders

যোগী আদিত্যনাথ এবং নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ না কি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরে বিজেপির ‘শীর্ষনেতা’র আসনটি কার জন্য বরাদ্দ হবে, তা নিয়ে দলের অন্দরে জল্পনা রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। এ বার সেই প্রশ্নে মুখ খুললেন যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং। আর তা ঘিরে উঠল নতুন প্রশ্ন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘রাজনীতি আমার কাছে পূর্ণ সময়ের কাজ নয়। আসলে আমি মনেপ্রাণে একজন যোগী।’’ কিন্তু অনুগামীরা তো তাঁকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান? আদিত্যনাথের তাৎপর্যপূর্ণ জবাব, ‘‘সব কিছুরই একটা সময় আছে।’’ ওই সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আর কত দিন সক্রিয় রাজনীতিতে থাকবেন। জবাব মিলেছে, ‘‘আমি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এবং দল আমাকে রাজ্যের জনগণের সেবা করার জন্য এই পদে রেখেছে।’’ আদিত্যনাথের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর মত গুরুদায়িত্বের পদ সামলানো পুরো সময়ের রাজনীতিবিদেরই কাজ।

গত বছর জানুয়ারিতে যখন উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছিল, তখন আদিত্যনাথকে কার্যত পিছনের সারিতে ঠেলে দিয়ে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর ঠিক এক বছর পরে সেই উত্তরপ্রদেশেরই প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ)-এ যখন মহাকুম্ভের আসর বসেছে, তখন সকলকে ছাপিয়ে শুধু আদিত্যনাথের মুখই সমস্ত আলো কেড়ে নিয়েছে। আর সেই সঙ্গেই তাঁর অনুগামীরা আবার ‘দিল্লিতে যোগীরাজ’ স্লোগান তুলছেন। আর সেই সঙ্গেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর ‘মতপার্থক্যের’ বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘দলের কারণেই আজ আমি এখানে এসেছি। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মতপার্থক্য থাকলে কি আমি পদে থাকতে পারি!’’

৩৭ বছর পরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে পরপর দু’বার বসার নজির তৈরি করেছেন আদিত্যনাথ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, আগামী ২০২৭-এর বিধানসভা ভোট তাঁর কাছে ‘অগ্নিপরীক্ষা’। গত বছরের লোকসভা ভোটের ফলও আদিত্যনাথকে চাপে রেখেছে। উত্তরপ্রদেশে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পদ্ম-শিবির ৮০টি আসনের মধ্যে ৬২টি জিতেছিল। ২০২৪-এ বিজেপি মাত্র ৩৩টি আসন জিতেছে। বিজেপির তার থেকেও বেশি মুখ পুড়েছে বারাণসী ও অযোধ্যায়। বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জয়ের ব্যবধান পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি থেকে দেড় লক্ষের কাছাকাছি নেমে এসেছে। ‘রামনগরী’ আযোধ্যায় হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। এই আবহে আরএসএসের সঙ্গে আদিত্যনাথের ‘সমীকরণ’ নিয়েও জল্পনা রয়েছে। সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আরএসএস ভারতের প্রতি দায়বদ্ধ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তারা বিপথগামীদের সঠিক পথ চিনতে সাহায্য করে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন