Fraud

ইউটিউব ভিডিয়োর মাধ্যমে ৭০০ কোটির প্রতারণা ভারতে, রয়েছে সন্ত্রাসযোগও

অভিযুক্তদের সঙ্গে চিনা যোগসূত্র থাকার পাশাপাশি রয়েছে সন্ত্রাসযোগও। রবিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ন’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ১০:৫৯

প্রতীকী ছবি।

কোথাও ঘুরতে বা খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে সাধারণত আমরা গুগল-এ গিয়ে চটজলদি ‘রিভিউ’ বা বক্তব্য রাখার জায়গায় চোখ বুলিয়ে ফেলি। আবার কোনও ভিডিয়ো দেখার প্রয়োজন হলে আমাদের ভরসার জায়গা ইউটিউব। কিন্তু গুগল এবং ইউটিউব থেকেই প্রতারণার অভিযোগ উঠল ন’জনের বিরুদ্ধে। হায়দরাবাদ পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখার দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে চিনা যোগসূত্র থাকার পাশাপাশি রয়েছে সন্ত্রাসযোগও। রবিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ন’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, গত এক বছর ধরে গুগল এবং ইউটিউবকে মাধ্যম তৈরি করে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে বলে। হায়দরাবাদের বাসিন্দা শিব কুমার ২৮ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগে হায়দরাবাদ পুলিশের দ্বারস্থ হন। শিবের অভিযোগ, ইউটিউবের ভিডিয়ো লাইক করলে এবং গুগল-এ ‘রিভিউ’ লিখলে টাকা পাওয়া যাবে বলে শিবকে একটি অনামী সংস্থার তরফে অস্থায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বদলে শিবের সঙ্গে ২৮ লক্ষ টাকার প্রতারণা করা হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে যান তিনি। শিবের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে হায়দরাবাদ পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা। তদন্তে নেমে পুলিশ মোট ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ৩৩টি ভুয়ো সংস্থার সন্ধান পায়।

Advertisement

পুলিশের দাবি, লেবাননের হেজবোল্লা সন্ত্রাস দল এই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এমনকি চিন থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ সমস্ত তথ্য নজরে রাখা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ন’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুম্বই থেকে গ্রেফতার হয়েছেন গগন সোনি, পারভেজ ওরফে গুড্ডু এবং নৈমুদ্দিন শেখ। আমদাবাদ থেকে প্রকাশ মুলচন্দভাই প্রজাপতি এবং কুমার প্রজাপতি নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে বাকি চার জন ধরা পড়েছে হায়দরাবাদ থেকে। ওই অভিযুক্তদের নাম মহম্মদ মুনাওয়ার, আরুল দাস, শমীর খান এবং শাহ সুমের। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে যে, প্রকাশের সঙ্গে চিনের কয়েক জনের যোগাযোগ ছিল। নানা রকম অ্যাপের মাধ্যমে যাতে দুবাই এবং চিন থেকে ভারতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির সব তথ্য পাওয়া যায় তাই ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি)-র মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিদেশে সরবরাহ করতেন প্রকাশ বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement
আরও পড়ুন