Demolition of The Babri Masjid

‘রামমন্দির উদ্বোধন হচ্ছে বলে প্রতিহিংসার পথে কংগ্রেস’, বাবরিকাণ্ডে গ্রেফতারিতে রুষ্ট বিজেপি

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর গেরুয়া বাহিনীর করসেবকেরা অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠীহিংসা ছড়িয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল কর্নাটকের হুব্বল্লি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৭:০৯

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

তিন দশক আগে বাবরি মসজিদ ধ্বংস পরবর্তী গোষ্ঠীহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে কর্নাটকের হুব্বল্লিতে সোমবার শ্রীকান্ত পূজারি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অযোধ্যার সেই ধ্বংস হওয়া কাঠামোর জমিতে গড়ে ওঠা রামমন্দিরের উদ্বোধনের ঠিক তিন সপ্তাহ আগের ওই ঘটনাকে মঙ্গলবার রাজনীতির হাতিয়ার করল বিজেপি।

Advertisement

মঙ্গলবার কর্নাটক বিজেপির তরফে অভিয়োগ করা হয়েছে, রামমন্দির উদ্বোধনের আগে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করতেই কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার হুব্বল্লিতে অযোধ্যা আন্দোলনের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ‘‘কর্নাটকে কংগ্রেস লজ্জাজনক ভাবে হিন্দু কর্মীদের নিশানা করেছে। ৩১ বছরের পুরনো একটি সাজানো মামলায় বয়স্ক কারসেবক শ্রীকান্ত পূজারিকে গ্রেপ্তার করেছে৷ হিন্দুরা যখন রামমন্দির উদ্বোধন উদ্‌যাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সে সময়, কংগ্রেসের কাপুরুষোচিত পদক্ষেপ প্রমাণ করছে তার বাস্তবটাকে মানতে চাইছে না। হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর গেরুয়া বাহিনীর করসেবকেরা অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার পরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গোষ্ঠীহিংসা ছড়িয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল হুব্বল্লি। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত শ্রীকান্তের বয়স ৫০ বছর। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৯২ সালে কর্নাটকের হুব্বল্লিতে গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। হুব্বল্লি-ধারওয়াড় নগর পুলিশের কমিশনার রেণুকা সুকুমার সোমবার বলেন, ‘‘রুটিন কাজের অংশ হিসাবেই গত তিন মাস ধরে ৩৭ পুরনো মামলায় অভিযুক্তদের সন্ধান চালানো হচ্ছিল। তার মধ্যে একটি মামলায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

ধৃত ব্যক্তিকে সোমবার হুব্বল্লি আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন।’’ ‘স্পর্শকাতর’ এলাকা বলে চিহ্নিত কর্নাটকের ওই শহর অতীতে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীহিংসার ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বাবরি ধ্বংস পরবর্তী হিংসা যার অন্যতম। বিজেপি নেত্রী তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতীও হুব্বল্লির ১৯৯৪ সালের একটি গোষ্ঠীহিংসার ঘটনার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে অতীতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ খারিজ করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া মঙ্গলবার বলেন, ‘‘পুলিশ আইন মেনে কাজ করেছে। বিজেপি সব সময়ই ঘৃণা আর বিদ্বেষের রাজনীতি করে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement