বাঁ দিকে আরিজ আফতাব, ডান দিকে দিব্যেন্দু দাস। —ফাইল ছবি।
নবান্ন কোনও নাম না পাঠানোয় আপাতত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) নিয়োগ করল না নির্বাচন কমিশন। ভারপ্রাপ্ত সিইও হয়েছেন দিব্যেন্দু দাস। এর আগে তিনি অতিরিক্ত সিইও ছিলেন। কমিশন সূত্রে খবর, স্থায়ী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সদ্য প্রাক্তন সিইও আরিজ আফতাবের জায়গায় দিব্যেন্দু দায়িত্ব সামলাবেন।
কমিশন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সিইও হিসাবে কোনও প্যানেল পাঠায়নি নবান্ন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার রাজ্যের সিইও পদ থেকে অবসর নিয়েছেন আরিজ। এই পরিস্থিতিতে তাঁর স্থায়ী উত্তরসূরি মনোনীত হলেন না। অস্থায়ী ভাবে দায়িত্ব দেওয়া হল দিব্যেন্দুকে। নিয়ম অনুযায়ী, সিইও পদের জন্য রাজ্যকে এক বা একাধিক নামের প্যানেল পাঠাতে হয়। সেই তালিকা থেকে এক জনকে সিইও হিসাবে বেছে নেয় নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অতীতে কখনওই এমনটা হয়নি যে সিইও পদের জন্য সময়মতো প্যানেল পাঠানো হয়নি নবান্নের তরফে। ওই সূত্রের দাবি, এ ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে কমিশন। তার পরে রাজ্য প্যানেল না পাঠালে মুখ্যসচিবকে এ বিষয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ দিতে পারে কমিশন। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের সিইও হিসাবে দায়িত্ব নেন আরিজ আফতাব। ওই পদে তিনি প্রায় আট বছর ছিলেন। ২০১৯, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট এবং ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা ভোট পরিচালনা করেছেন আরিজ। মঙ্গলবার অবসর নিচ্ছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, সিইও হিসাবে আরিজের নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় নবান্নের পাঠানো দুটো তালিকা বাতিল করেছিল কমিশন। তৃতীয় প্যানেল থেকে আরিজকে বেছে নিয়েছিল কমিশন।