মৃত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী (ইনসেটে)অতুল এবং তাঁর পরিবার। ছবি: সংগৃহীত।
পুত্র অতুল সুভাষকে আগেই হারিয়েছেন। কিন্তু পুত্রের মৃত্যুর পর থেকে তাঁর সন্তানের খোঁজ মিলছে না। নাতির খোঁজেই এখন দিশাহারা অতুলের বাবা-মা। নাতিকে নিজেদের কাছে পেতে চেয়ে বিহারের সমস্তিপুরে বাইনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন অতুলের বাবা পবন মোদী। বাইনি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শঙ্কর গৌরব জানিয়েছেন, পবন মোদীর অভিযোগের ভিত্তিতে জ়িরো এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, যে হেতু মামলাটি উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার, তাই অভিযোগকারীর আবেদন এবং এফআইআর সেখানে স্থানান্তর করা হয়েছে তদন্তের অগ্রগতির জন্য। জৌনপুর পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। অতুলকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং শাশুড়ি এবং শ্যালক। কিন্তু অতুলের মৃত্যুর পর থেকে তাঁর পুত্রের কোনও হদিস মিলছে না। সে কোথায়, কেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন অতুলের পরিবার।
অতুলের বাবা বলেন, ‘‘নাতিকে এক বারই ভিডিয়ো কলে দেখেছি। নাতিকে নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।’’ তাঁর সন্দেহ নাতির ক্ষতি করার চেষ্টা হচ্ছে। তাই তিনি নিজেদের কাছে নাতিকে নিরাপদে রাখতে চান। এর পরই অতুলের বাবার হুঁশিয়ারি, ‘‘নাতিকে না ফিরে পেলে সপরিবার আত্মহত্যা করব।’’
বেঙ্গালুরুর একটি অটোমোবাইল সংস্থায় কাজ করতেন অতুল। বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তিন কোটি টাকা চেয়ে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ ওঠে স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। গত ৯ ডিসেম্বর অতুলের দেহ উদ্ধার হয়। স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুলে মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোটও লিখে গিয়েছিলেন অতুল।