Supreme Court of India

‘পণের জন্য নির্যাতনের প্রমাণ নেই’

নিম্ন আদালত এবং হাই কোর্ট, দু’জায়গাতেই এর আগে স্বামী, ননদ এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে ৩০৪-খ ধারায় পণের জন্য নির্যাতনের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

Sourced by the ABP

বধূমৃত্যুর মামলায় পণের জন্যই যে নির্যাতন হয়েছে, তা প্রমাণ করা না গেলে দণ্ডবিধির ৩০৪-খ ধারায় সাজা হতে পারে না বলে সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৯ অগস্টের ওই নির্দেশে বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ ছবি কর্মকার ও অন্যান্য বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মামলায় নিম্ন আদালত ও হাই কোর্টের সাজা ঘোষণায় ভুল রয়েছে বলে জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, দোষী সাব্যস্ত হওয়া স্বামীকে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং ৪৯৮ক ধারায় বধূ নির্যাতনের শাস্তি দেওয়া যাবে। কিন্তু পণের বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় ৩০৪-খ ধারা প্রয়োগ করা যাবে না।

Advertisement

নিম্ন আদালত এবং হাই কোর্ট, দু’জায়গাতেই এর আগে স্বামী, ননদ এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে ৩০৪-খ ধারায় পণের জন্য নির্যাতনের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। কিন্তু সু্প্রিম কোর্ট বলেছে, ‘‘বধূ যে পণের জন্যই নির্যাতিত হয়েছেন তার স্পষ্ট প্রমাণ না থাকলে ওই ধারা প্রযোজ্য নয়।’’ বিচারপতিরা সাক্ষীদের বয়ান খুঁটিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত করেছেন, পণের দাবি প্রসঙ্গে সাক্ষীরা উপর-উপর কিছু কথা বলেছেন। সেটা ৩০৪-খ ধারা প্রয়োগের জন্য যথেষ্ট নয়। নিম্ন আদালত এবং হাই কোর্ট উভয়েই সাক্ষ্য আইন (১৯৮২)-এর ১১৩খ ধারায় পূর্বানুমানের ভিত্তিতে সাজা দিয়েছে বলে তাঁদের মত।

বিচারপতিরা বলেছেন, বিয়ের সাত বছরের মাথায় বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে বলেই ধরে নেওয়া যায় না যে তা পণঘটিত নির্যাতনের জেরে ঘটেছে। নির্যাতন যে ঘটেছে, তা সাক্ষীদের বয়ানে আছে। স্বামীর অন্য একটি সম্পর্ক নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত, সে কথাও উঠে এসেছে। পণের সঙ্গে এই ঘটনার যোগের নির্দিষ্ট প্রমাণ কিন্তু নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement