OBC Certificate Case

ওবিসি শংসাপত্র মামলায় জবাব দিতে শীর্ষ আদালতে আরও সময় চাইল রাজ্য

ওবিসি শংসাপত্র মামলায় রাজ্যের থেকে জবাব তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। সেখানে রাজ্যের আইনজীবী জবাব দেওয়ার জন্য আরও সময় চান আদালতের কাছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৪ ১৪:১৩
সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র মামলা।

সুপ্রিম কোর্টে ওবিসি শংসাপত্র মামলা। —ফাইল চিত্র।

ওবিসি শংসাপত্র মামলায় জবাব দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আরও সময় চাইল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলায় প্রচুর মামলাকারী রয়েছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে প্রধান বিচারপতির এজলাসে সিব্বল জানান, অন্য পক্ষ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একগুচ্ছ নথি জমা দিয়েছে। তাই তাঁর এ বিষয়ে জবাব দিতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। আদালত সেই সময় মঞ্জুর করেছে। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়। সেই মামলায় হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি হওয়া সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করতে হবে। যার জেরে বাংলায় ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি হওয়া প্রায় ১২ লাখ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়েছিল। উচ্চ আদালত জানিয়েছিল, সরকারি চাকরি বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে সংরক্ষণের জন্য ওই শংসাপত্রগুলি ব্যবহার করা যাবে না। তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই ওই শংসাপত্র ব্যবহার করে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, বা চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন, তাঁদের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও জানিয়েছিল হাই কোর্ট।

ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে হাই কোর্টের এই রায়ের পরই তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাই কোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে। ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের থেকে মূলত দু’টি প্রশ্নের জবাব তলব করেছিল। প্রথমত, কোন তথ্য-পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ৭৭টি সম্প্রদায়কে অনগ্রসর শ্রেণি বা ওবিসি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, রাজ্যের অনগ্রসর কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছিল কি না। হলফনামা আকারে এ বিষয়ে রাজ্যের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছিল।

হাই কোর্টের রায়ের উপর সেই দিন কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত। এর পর ২০ অগস্ট সিব্বল শীর্ষ আদালতে অনুরোধ করেছিলেন যাতে হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাই কোর্টের রায়ের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন