Flood in Gujrat

‘মৃতদেহ কবর দেওয়ারও জায়গা নেই’! গুজরাতের গ্রামে বন্যা পরিস্থিতিতে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে গুজরাত। বন্যাকবলিত জুনাগড় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। শেষকৃত্যের জন্য কোমর-জলে পায়ে হেঁটে শব নিয়ে অন্য গ্রামে যেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ১৭:৪৯
জলমগ্ন গুজরাত।

জলমগ্ন গুজরাত। ছবি: সংগৃহীত।

বানভাসি গুজরাতের জুনাগড় জেলার মুলিয়াসা গ্রাম। চারপাশে শুধু জল ছাড়া আর কিছু চোখে পড়ে না। তার মাঝেই কোমর-জলে পায়ে হেঁটে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে একটি শবযাত্রা। এমনই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত একটি ভিডিয়োতে।

Advertisement

মুলিয়াসা গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি এমনই চরমে পৌঁছেছে যে, মৃতদেহ অন্ত্যেষ্টি করারও জায়গা নেই। শেষকৃত্যের জন্য শব নিয়ে জলমগ্ন রাস্তা দিয়েই পায়ে হেঁটে পাশের গ্রামে যেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। এ ছাড়া জুনাগড়ের মানভাদর এবং কেশোদ-এও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

মাসের শুরু থেকেই প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে গুজরাত। বিভিন্ন জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জলমগ্ন জুনাগড় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিপর্যস্ত জনজীবন। সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল কৈলাস গৌতমের নেতৃত্বে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) জওয়ানদের একটি বিশেষ দল। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় উদ্ধারকাজে এনডিআরএফের আরও ১০ টি দল মোতায়েন করেছে কেন্দ্র। বোট, লাইফ জ্যাকেট ইত্যাদি নিয়ে উদ্ধারকাজে লেগে পড়েছে তারা।

প্রসঙ্গত, গুজরাট ছাড়াও অসম ও উত্তরপ্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। অসমে বন্যা পরিস্থিতি এখনও শোচনীয়। অসমে বন্যাকবলিত ১২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। জলের নীচে শ’য়ে শ’য়ে গ্রাম। সরকারি হিসাবে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৯০। তিন লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া। রাজ্যের ৩১৬টি ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। মানুষ ছাড়াও বন্যায় বিপাকে পড়েছে রাজ্যের সাড়ে ছ’লক্ষের বেশি পশু। কাজিরাঙায় মৃত্যু হয়েছে ১০টি গন্ডার, ১৫০টি হগ ডিয়ার-সহ ১৮০টি পশুর। সোমবার বন্যাকবলিত রাজ্যগুলিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিন রাজ্যে এনডিআরএফের মোট ১৬২টি দল মোতায়েন করেছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন
Advertisement