Encounter in UP

দুষ্কৃতীর সঙ্গে লড়াই, গুলির সংঘর্ষে মৃত্যু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কনস্টেবলের, বিয়ে ছিল এক মাস পরেই

অশোক যাদব নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে ধরতে অভিযানে গিয়েছিল কনৌজ পুলিশের একটি দল। গোপন সূত্রে পুলিশের দলটি খবর পেয়েছিল, অশোক যাদব নামে ওই দুষ্কৃতী বাড়িতে ফিরেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৫১
পুলিশ কনস্টেবল সচিন রাঠী (বাঁ দিকে)। পুলিশের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত।

পুলিশ কনস্টেবল সচিন রাঠী (বাঁ দিকে)। পুলিশের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ে ছিল আগামী ফেব্রুয়ারিতে। বাড়িতে তা নিয়ে তোড়জোড়ও চলছিল। কিন্তু তার আগেই শোকের ছায়া নেমে এল উত্তরপ্রদেশের কনৌজের রাঠী পরিবারে। সেই পরিবারের সন্তান বছর তিরিশের সচিন সোমবারই দুষ্কৃতীদমন অভিযানে গিয়ে দুষ্কৃতীর গুলিতেই নিহত হয়েছেন। আর সেই সঙ্গে রাঠী পরিবারে এখন শুধুই কান্নার রোল আর হাহাকার।

Advertisement

অশোক যাদব নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে ধরতে অভিযানে গিয়েছিল কনৌজ পুলিশের একটি দল। গোপন সূত্রে পুলিশের দলটি খবর পেয়েছিল, অশোক যাদব নামে ওই দুষ্কৃতী বাড়িতে ফিরেছেন। সেই খবর পেয়েই পুলিশের দলটি অশোককে ধরতে যায়। তাঁর বাড়ি ঘিরে ফেলতেই ঘরের ভিতর থেকে অশোক এবং তাঁর ছেলে অভয় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে।

দু’পক্ষের মধ্যে এক ঘণ্টার উপর গুলির লড়াই চলে। সেই লড়াইয়ে কনস্টেবল সচিন রাঠীর পায়ে গুলি লাগে। গুরুতর জখম হন তিনি। চার জনের ওই পুলিশ দলটি অশোক এবং অভয়কে বাগে আনতে পারছিল না। দু’জনকে ধরতে বাড়তি বাহিনী ডাকা হয়। তার পরেও গুলির লড়াই চলে। প্রবল হামলার মুখে পড়ে অশোক এবং তাঁর ছেলে বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের গুলিতে দু’জনেই আহত হন। তার পর তাঁদের ধরে ফেলে পুলিশ।

অন্য দিকে, কনস্টেবল রাঠী গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর শরীর থেকে অনেক রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল। ফলে চিকিৎসা চলাকালীন সোমবার মধ্যরাতে মৃত্যু হয় ওই কনস্টেবলের। আদতে মুজফফরনগরের বাসিন্দা কনস্টেবল সচিন। ২০১৯ সালে পুলিশে যোগ দেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রাঠীর বিয়ে ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ।

আরও পড়ুন
Advertisement