UP Man Kills 4 Children

উত্তরপ্রদেশে চার সন্তানকে গলা কেটে খুন! শেষে গলায় দড়ি দিলেন বাবাও, তদন্তে পুলিশ

নিহতদের নাম স্মৃতি (১২), কীর্তি (৯), প্রগতি (৭), ঋষভ (৫) এবং রাজীব কুমার (৩৬)। রোজা থানার অন্তর্গত মানপুর চাচারি গ্রামের বাসিন্দা ছিল ওই পরিবার। বুধবার রাতে ওই যুবক একে একে তাঁর চার সন্তানকে গলা কেটে খুন করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫৭

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন স্ত্রী। সেই সুযোগে চার সন্তানকে গলা কেটে খুন করলেন স্বামী! তার পর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন নিজেও। বুধবার রাতে উত্তরপ্রদেশের মানপুর চাচারি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতদের নাম স্মৃতি (১২), কীর্তি (৯), প্রগতি (৭), ঋষভ (৫) এবং রাজীব কুমার (৩৬)। রোজা থানার অন্তর্গত মানপুর চাচারি গ্রামের বাসিন্দা ছিল ওই পরিবার। বুধবার রাতে ওই যুবক একে একে তাঁর চার সন্তানকে গলা কেটে খুন করেন বলে অভিযোগ। এর পর নিজেও আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন রাজীবের স্ত্রী। স্ত্রীর যাওয়ার পর রাতেই রাজীব তাঁর তিন মেয়ে স্মৃতি, কীর্তি ও প্রগতিকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে খুন করেন। একই ভাবে খুন করেন পাঁচ বছরের ছেলে ঋষভকেও। তার পর সন্তানদের দেহ একটি ঘরে ফেলে রেখে পাশের ঘরে গিয়ে গলায় দড়ি দেন যুবক। বৃহস্পতিবার সকালে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে দু’টি ঘরই বন্ধ থাকতে দেখে সন্দেহ হয় রাজীবের বাবার। অনেক ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা না খোলায় শেষমেশ বাইরে থেকে ছাদ বেয়ে উঠে ঘরে ঢোকেন তিনি। তখনই ছেলের ঝুলন্ত দেহ আবিষ্কার করেন ওই প্রৌঢ়। পাশের ঘরে ঢুকে দেখা যায়, মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রাজীবের সন্তানদের দেহ।

তবে কেন ওই যুবক এমন ঘটালেন, তা এখনও জানা যায়নি। রাজীবের পরিবারের সদস্যেরা জানিয়েছেন, এক বছর আগে এক দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন ওই যুবক। দীর্ঘ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলেও আঘাতের জেরে আংশিক ভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন তিনি। সহজেই রেগে গিয়ে হিংস্র হয়ে উঠতেন রাজীব। মারধর করতেন সন্তানদেরও। তবে তিনি যে এমন করে বসবেন, তা ভাবতে পারেননি পরিজনদের কেউই। নিহতদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। খুনের নেপথ্যে প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।

Advertisement
আরও পড়ুন