কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরা। — ফাইল চিত্র।
কৌতুকশিল্পী কুণাল কামরাকে নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। কুণালের মন্তব্য ঘিরে উত্তাল চেহারা নিয়েছে জাতীয় রাজনীতি। অভিযোগ, একের পর এক খুনের হুমকি পাচ্ছেন কৌতুকশিল্পী। সেই আবহেই ‘প্রাণসংশয়ের ঝুঁকি’র কারণ দেখিয়ে থানায় হাজিরা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন কুণাল। কিন্তু বৃহস্পতিবার নাকচ হয়ে গেল কুণালের সেই আবেদন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দেকে কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কুণাল। অভিযোগ, কৌতুকানুষ্ঠানের আসরে একনাথকে ‘গদ্দার’ বলেন তিনি। একটি জনপ্রিয় হিন্দি গানের সঙ্গে শিন্দের অঙ্গভঙ্গি নকল করে দেখান। পাশাপাশি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ‘তানাশাহি’ (একনায়কতন্ত্র) বলেও কটাক্ষ করেন। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে তৎপর হয় মুম্বই পুলিশ। বুধবার কুণালকে দ্বিতীয় বার সমন পাঠানো হয়। জবাবে কুণাল জানান, তাঁর প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। হাজিরা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন কৌতুকশিল্পী। অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। সোমবার যে কোনও শর্তে তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
কুণালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘নয়া ভারত’ নামে এক অনুষ্ঠানে ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। শিবসেনা বিধায়কদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রুজু করেছে মুম্বই পুলিশ। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসও দাবি করেছেন, অবিলম্বে কুণালের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু কুণাল নিজের অবস্থানে অনড়। তিনি জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না। অন্য দিকে, ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শিন্দেসেনার রোষের মুখে পড়তে হয় কুণালকে। যে স্টুডিয়োতে অনুষ্ঠানটি হয়েছিল, সেই স্টুডিয়োতে ঢুকে ভাঙচুর চালান শিন্দেসেনার কর্মী-সমর্থকেরা।