পুলিশের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন সাংবাদিক। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছত্তীসগঢ়ের সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই আরও এক সাংবাদিকের দেহ উদ্ধার হল। এ বার ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ। ওই রাজ্যের উন্নাওয়ে সাংবাদিকের বাড়ির সামনে থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে সাংবাদিককে।
পুলিশ জানিয়েছে, সাংবাদিকের নাম শুভম শুক্ল (২৪)। ছত্তীসগঢ়ের মুকেশের মতো শুভমও একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাতেন। পরিবারের অভিযোগ, এক বিজেপি নেতার সঙ্গীদের সঙ্গে ঝামেলার পর তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। তার পরই দেহ উদ্ধার হয় শুভমের। বাড়ির কাছে টোটো চার্জিং পয়েন্টে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা।
তবে পুলিশের দাবি, এটি কোনও খুনের ঘটনা নয়। আত্মহত্যা করেছেন সাংবাদিক। যদিও শুভমের পরিবার এই দাবিকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করেছে। তাঁর মৃত্যুর জন্য বিজেপি কাউন্সিলরের সঙ্গীদেরই দায়ী করছে শুভমের পরিবার। তাদের আরও অভিযোগ, শুভমকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
শুভমের পরিবারের দাবি, জন্মদিনের পার্টিতে শুভমের সঙ্গে ঝামেলা হয় বিজেপি কাউন্সিলরের সঙ্গীদের। শুভম এবং তাঁর ভাইকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। শুভমের ভাই সেই ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি শুভমের পরিবারের। তাঁদের আরও দাবি, বিজেপি কাউন্সিলর এবং তাঁর সঙ্গীরা মামলা তোলার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। এমনকি হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল।
শুভমনের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ শুধু আশ্বাস দিয়েই বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করে। শুভমের দাদা সুরজ এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কাউন্সিলর এবং তাঁর সঙ্গীরা মামলা তোলার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। আমার ছোট ভাইয়ের উপর হামলা চালানো হয়। হাসপাতালে কয়েক সপ্তাহ ভর্তি ছিল। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।’’ উন্নাও পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাটিকে প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
গত ৩ জানুয়ারি ছত্তীসগঢ়ের সাংবাদিক মুকেশের দেহ উদ্ধার হয় বিজাপুরে। এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১২০ কোটি টাকার প্রকল্পের ‘দুর্নীতি’ ফাঁস করেছিলেন মুকেশ। পরিবারের অভিযোগ, তার জন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।