অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের পেনশন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শীর্ষ আদালতে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
যাঁরা কোনও কাজ করেন না, তাঁদের কিছু বিলি করার সময় রাজ্যগুলির টাকার অভাব হয় না। কিন্তু জেলা আদালতের বিচারকদের বেতন এবং পেনশন দেওয়ার বেলাতেই তাদের কোষাগারে টান পড়ে যায়! মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের পেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে ২০১৫ সালে একটি মামলা করে অল ইন্ডিয়া জাজেস্ অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ্র বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। দুই বিচারপতির এজলাসে অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানি জানান, বিচারকদের অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোষাগারে টানের দিকটিও দেখতে হয় সরকারকে। সেই সময়েই ওই মৌখিক পর্যবেক্ষণে এ কথা জানায় শীর্ষ আদালত।
দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “যাঁরা কোনও কাজ করেন না, তাঁদের জন্য রাজ্যগুলির টাকা রয়েছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রেই দেখুন, লাডলি বহেনা এবং অন্য প্রকল্পগুলিতে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দেওয়া হচ্ছে। দিল্লিতেও কোনও একটি দল ঘোষণা করছে, তারা ক্ষমতায় এলে ২৫০০ টাকা করে দেবে।” তখন অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, এই পেনশন সংক্রান্ত সমস্যাটি বছরের পর বছর ধরেই চলে আসছে। বিলি করার যে রেওয়াজ শুরু হয়েছে, সেটিকে এর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সঠিক হবে না বলেও জানান তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রস্তাব, কোনও সরকারের যদি প্রকৃত অর্থেই আর্থিক সমস্যা থাকে, সেটি বিবেচনা করে দেখা উচিত।
এর আগে গত বছরের মার্চেও শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, হাই কোর্টের বিচারপতিদের পেনশনের ক্ষেত্রে কোনও বৈষম্য রাখা যায় না। জেলা আদালত থেকে যিনি বিচারপতির পদে এসেছেন, তাঁর ক্ষেত্রেও পেনশনের সুযোগ-সুবিধা সর্বশেষ বেতনের হিসাবে হওয়া উচিত বলে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত।