আরজি কর-কাণ্ডের পর নিরাপত্তার দাবিতে সরব চিকিৎসকেরা। —ফাইল চিত্র।
চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার? কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতেই বা কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বরের আগে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যগুলিকে। এই মর্মে বুধবার প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব অপূর্ব চন্দ্র। চিঠি গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশের ডিজিদের কাছে।
কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়ে গত ২৩ অগস্ট কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে যে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তার অধিকাংশের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। পদক্ষেপের কথা কেন্দ্রকে জানানোও হয়েছে। কোনও কোনও রাজ্য ওই পরামর্শ ছাড়াও বাড়তি কিছু পদক্ষেপ করেছে। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের আগে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ পাঠাতে হবে কেন্দ্রের কাছে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোথায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার, তা রিপোর্ট আকারে কেন্দ্রকে জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় গত ২২ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, কেন্দ্রকে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে এবং হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে পদক্ষেপ করতে হবে। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক হয় ২৮অগস্ট। স্বাস্থ্য সচিবের চিঠি অনুযায়ী, ওই বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা স্থির হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বিভিন্ন রাজ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হাসপাতালগুলিকে আগে চিহ্নিত করতে হবে। যে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বেশি ভিড় হয়, সেগুলিকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করার কথা হয়েছিল। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন, সিসি ক্যামেরা বসানো, স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগের পদ্ধতি সহজতর করা, নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা, ভলান্টিয়ার হিসাবে প্রশিক্ষিতদের নিয়োগের কথা বলা হয় ওই বৈঠকে।
বৈঠকের সে সব প্রস্তাবের মধ্যে অনেক রাজ্যই অনেক পদক্ষেপ করেছে বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, কোন রাজ্যে কী কী পদক্ষেপ হয়েছে, তা রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে।