দিল্লির সিঙ্ঘু সীমানায় বিক্ষোভকারীরা। —ফাইল চিত্র
কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে এ বার ময়দানে নামল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। শুক্রবার সরকার এবং বিক্ষোভকারী দু’পক্ষকেই ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের সংযম’ পালনের বার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার দফতর। ভারতে চলমান কৃষক বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে সম্প্রতি টুইট বার্তা দিয়েছিলেন পপ তারকা রিহানা, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। সেই আবহে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই দফতরের তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, ‘চলমান কৃষক বিক্ষোভে আমরা সরকার এবং বিক্ষোভকারী দু’পক্ষের কাছেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের সংযম পালনের আবেদন রাখছি। শুধু বাইরে নয়, অনলাইনেও শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং মতপ্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত থাকা উচিত। মানবাধিকারের কথা মাথায় রেখে ন্যায়সঙ্গত সমাধান খুঁজে বার করাই গুরুত্বপূর্ণ’।
নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লিতে কৃষকদের বিক্ষোভ-আন্দোলন নাড়িয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলকেও। সম্প্রতি কৃষকদের দাবিকে সমর্থন করে টুইট করেন পপ তারকা রিহানা, পর্নস্টার মিয়া খলিফা, সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের মতো অনেকেই। সেই আবহে এ বার বার্তা দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ।
#India: We call on the authorities and protesters to exercise maximum restraint in ongoing #FarmersProtests. The rights to peaceful assembly & expression should be protected both offline & online. It's crucial to find equitable solutions with due respect to #HumanRights for all.
— UN Human Rights (@UNHumanRights) February 5, 2021
নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির সীমানায় জমায়েত চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। এর মধ্যেই সমাধান খুঁজতে সরকার পক্ষের সঙ্গে ১১ দফা আলোচনা চালিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। কিন্তু তা নিষ্ফলা হয়েছে। পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয় গত ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে। ওই দিন দিল্লির বুকে ট্র্যাক্টর র্যালি করেন কৃষকরা। বিক্ষোভকারীদের একাংশ লালকেল্লায় পতাকাও তুলে দেন। এর পর পরিস্থিতি কিছুটা ঘোরালো হয়ে ওঠে। দিল্লির সীমানায় যেখানে বিক্ষোভকারীদের অবস্থান চলছে, সেখানকার বহু জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। বস্তুত ‘অনলাইন’-এ নিজের মতপ্রকাশের দাবিকে মান্যতা দিয়ে শুক্রবার বার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জেও।