প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিধানসভা ভোটের প্রথম দফার আগের দিনেই মাওবাদী হামলায় রক্ত ঝরল ছত্তীসগঢ়ে। সোমবার বিকেলে কাঁকের জেলায় মাওবাদীদের আইইডি (ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে এক বিএসএফ জওয়ান এবং দুই ভোটকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মাওবাদী হামলার শিকার হন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ১০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগের দিন কাঁকেরেই মাওবাদী হামলায় নিহত হয়েছিলেন এক বিএসএফ জওয়ান।
ছত্তীসগঢ় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ছোটবেঠিয়া থানা এলাকায় জঙ্গল ঘেরা এলাকায় চারটি ভোটগ্রহণকারী দল (পোলিং পার্টি) এবং তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের যৌথ বাহিনীর উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা। ‘পোলিং পার্টি’গুলিকে মারবেদা ক্যাম্প থেকে অন্তাগড় বিধানসভার রেঙ্গাঘাটি রেঙ্গাগন্ডি ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রেসার আইইডি বিস্ফোরণের পর জওয়ানদের সঙ্গে মাওবাদী গেরিলাদের একপ্রস্ত গুলির লড়াইও হয়। হামলার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাড়তি বাহিনী। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী ছোটবেঠিয়া হাসপাতালে।
প্রতি বারের মতোই এ বারেও নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী) ছত্তীসগঢ়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। তাদের হুমকির জেরে বস্তার এবং দুর্গের ২০টি আসনে ভোটের আগে প্রায় ৭০০ কোম্পানিরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী (প্রতি কোম্পানিতে ১০০ জনেরও বেশি জওয়ান এবং অফিসার থাকেন)। এর পাশাপাশিই মাওবাদী হামলার সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা রয়েছে, এমন ‘অতি স্পর্শকাতর’ ১০টি বিধানসভায় ভোটগ্রহণ সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
এই দফায় সে রাজ্যের ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে এই দফায় ভোটগ্রহণ হবে মাওবাদী-উপদ্রুত ২০টি কেন্দ্রে। এর মধ্যে রয়েছে বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলার (বস্তার, দন্তেওয়াড়া, বিজাপুর, নারায়ণপুর, সুকমা, কোন্ডাগাঁও এবং কাঁকের) ১২টি বিধানসভার সবক’টি। বাকি ৮টি লাগোয়া দুর্গ ডিভিশনের চারটি জেলায়। আগামী ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় তথা শেষ দফায় ৭০টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়ে। গণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং মিজ়োরামের সঙ্গেই।