অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ফাইল চিত্র।
আগামী বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদযাত্রা করার অনুমতি দিল না ত্রিপুরা পুলিশ। পুলিশের তরফের জানানো হয়েছে, ওই দিন শহরে অন্য একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। অভিষেকের প্রস্তাবিত পদযাত্রার ‘রুট’ ধরেই হবে সেই কর্মসূচি। সে কারণে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
নিয়ম অনুযায়ী কোনও কর্মসূচির ৭২ ঘণ্টা আগে লিখিত ভাবে পুলিশের কাছে অনুমতি চাইতে হয়। সেই নিয়ম মেনে ওই রাজনৈতিক সংগঠনটি তৃণমূলের আগে তাদের কর্মসূচির জন্য অনুমতি নিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। যদিও আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশ অভিষেকের সভা অনুমতি দিয়েছিল। তার পর অনুমতি বাতিল করেছে। যদিও আমরা পুলিশের প্রস্তাবিত ‘রুট’ ধরেই পদযাত্রা করব বলেছিলাম।’’
.@abhishekaitc কে ভয় পেয়ে 15/9 পদযাত্রা ঠেকাতে মরিয়া বিজেপি।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 13, 2021
পুলিশ জানাল ঐদিন ঐদিন ঐ রুটেই অন্য দল কর্মসূচি করবে।
এখন শুনলাম 14/15 বিএমএসকে দিয়ে রেল ধর্মঘট করাচ্ছে বিজেপি ধর্মনগরে। যেখান থেকে ট্রেন ছাড়ে।
বিজেপি ভয় পেয়েছে।
তৃণমূল কিছুক্ষণ পর পরবর্তী জানাবে।
তৃণমূলের তরফে এই ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপপ্রয়োগের’ অভিযোগ তোলা হয়েছে। কুণাল টুইটারে লিখেছেন, ‘অভিষেককে ভয় পেয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের পদযাত্রা ঠেকাতে মরিয়া বিজেপি। পুলিশ জানাল, ওই দিন ওই রুটেই অন্য দল কর্মসূচি করবে। এখন শুনলাম ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর বিএমএস (সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন)-কে দিয়ে রেল ধর্মঘট করাচ্ছে বিজেপি ধর্মনগরে। যেখান থেকে ট্রেন ছাড়ে। বিজেপি ভয় পেয়েছে।’
বুধবার দুপুর ২টো ত্রিপুরার রাজধানীতে অভিষেকের পদযাত্রার কথা ছিল। তার প্রস্তুতির জন্য রবিবার আগরতলায় বৈঠক করেছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন।
গত দু’মাসের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় বার ত্রিপুরায় যাওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। গত ২ অগস্ট প্রথম সফরে আগরতলা থেকে গোমতী জেলার উদয়পুরের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন অভিষেক। মাতাবাড়ি এলাকায় তাঁর গাড়িতে বিজেপি-র পতাকাধারী কিছু ব্যক্তি হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখে এ বার অভিষেকের সফরের সময়ে ত্রিপুরায় পশ্চিমবঙ্গের ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের দুই অফিসার মোতায়েন থাকবেন বলে সে রাজ্যের তৃণমূল নেতারা জানিয়েছিলেন। সে কথা পশ্চিমবঙ্গের ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চের তরফে ত্রিপুরা সরকারকে জানানো হয়েছিল।