পুরভোটের প্রস্তুতি আগরতলায়। ছবি: পিটিআই।
শাসকদল বিজেপি ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১২টিতে জিতে গিয়েছে আগেই। প্রচারপর্ব ঘিরে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। উত্তেজনার সেই আবহেই বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় ২০টি পুর অঞ্চলের বাকি ২২২টি আসনে হবে ভোট।
ত্রিপুরা রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত হবে আগরতলা পুরসভা, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ। রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৬৪৪। ভোটদাতা ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪১। গণনা আগামী শনিবার (২৭ নভেম্বর)। ৬৪৪টি বুথের মধ্যে ৩৭০টিকে ‘অতি স্পর্শকাতর’ এবং ২৭৪টিকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। অশান্তি ঠেকাতে বুধবার থেকেই রাজধানী আগরতলা-সহ বিভিন্ন পুরসভার বুথে বুথে সিআরপিএফ এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস (টিএসআর) বাহিনী মোতায়েন শুরু হয়েছে।
কমিশন সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে আগরতলার প্রতিটি বুথে পাঁচ জন করে সশস্ত্র জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। অন্য পুর অঞ্চলগুলির স্পর্শকাতর বুথে থাকবেন চার জন করে।
২২২টি আসনে লড়াইয়ে আছেন মোট ৭৮৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে বিজেপি-র ২২২, সিপিএমের ১৯৭, তৃণমূলের ১২০ এবং কংগ্রেসের ৯২ জন রয়েছেন। আগরতলা পুরসভার ৫১টি ওয়ার্ডের সব ক’টিতেই বিজেপি এবং তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে। কংগ্রেস লড়ছে ৩৩টিতে। সিপিএম ৪০ এবং সহযোগী সিপিআই ৩, আরএসপি ২, ফরওয়ার্ড ব্লক ১টি ওয়ার্ডে লড়ছে।
ভোটের আগেই ত্রিপুরার ৭টি পুর অঞ্চলে বোর্ড গঠন নিশ্চিত করেছে বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছে মোহনপুর, উদয়পুর, রানিরবাজার, শান্তিরবাজার, বিশালগড় পুরসভা এবং কমলপুর ও জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েত। এর মধ্যে জিরানিয়া পুরসভার একটি মাত্র ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে। বাকিগুলিতে সব ওয়ার্ডেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ, কার্যত ভোটগ্রহণ হবে ১৪টি পুর অঞ্চলে। শাসক দলের সন্ত্রাসেই প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
পুরভোটের প্রচারপর্বে আগরতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিরোধীদের উপর শাসকদলের হামলার অভিযোগ উঠেছে। শেষ বেলায় প্রচারে এসে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিজেপি-র নামে স্লোগান দিয়ে বুথে গিয়ে পদ্মের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে আসার জন্য ত্রিপুরাবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন। ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ আগরতলার বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুদীপ রায় বর্মণ গেরুয়া শিবিরের একাংশের বিরুদ্ধেই গুন্ডামির অভিযোগ তুলেছেন।