Soni Sori

মাওবাদী দমন অভিযানের নামে সাজানো সংঘর্ষে খুন, শিশুদেরও গুলি! অভিযোগ আদিবাসী নেত্রীর

গত ১১ ডিসেম্বর অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সাত জন নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিল পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:৫৬
(বাঁ দিকে) সোনি সোরি। ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) সোনি সোরি। ছত্তীসগঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বিজেপিশাসিত ছত্তীসগঢ়ে সাজানো এনকাউন্টারে আদিবাসীদের খুন করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় আধাসেনা এবং পুলিশের যৌথবাহিনীর বিরুদ্ধে। বস্তার ডিভিশনের অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে মাওবাদী বিরোধী অভিযানের অছিলায় ওই হত্যালীলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ জনজাতি অধিকার আন্দোলনের নেত্রী সোনি সোরির।

Advertisement

গত ১১ ডিসেম্বর অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই মাওবাদীর সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র সাত জন নিহত হয়েছিলেন বলে দাবি করেছিল পুলিশ। সোনির পাল্টা দাবি, নিহতেরা সকলেই সাধারণ গ্রামবাসী। বনজ সম্পদ সংগ্রহ করতেই সে দিন সকালে তাঁরা জঙ্গলে গিয়েছিলেন।

ওই ঘটনায় চার জন আদিবাসী শিশুও বুলেটবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেছেন সোনি। তিনি জানান, এঁদের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর ঘটনাস্থলের অদূরের কুম্মম গ্রামের বাসিন্দা। ১১ ডিসেম্বরের সকালে সাজানো সংঘর্ষে ওই কিশোরের বাবাকেও খুন করেছিল যৌথবাহিনী। যদিও ছত্তীসগঢ় পুলিশ বুধবার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় দশক আগে মাওবাদী সংশ্রবের অভিযোগে সোনিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। থানায় তাঁকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল। পরে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পান তিনি।

Advertisement
আরও পড়ুন