রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করল কংগ্রেস। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ থেকে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছ’জন অপরাধীর মুক্তির নির্দেশ গ্রহণযোগ্য নয়। শুক্রবার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘রাজীব গান্ধীর খুনিদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভুল। কোনও ভাবেই এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’
শুক্রবারই দেশের শীর্ষ আদালত রাজীব হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছ’জনকে শুক্রবার মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন, নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। এর পরেই কংগ্রেস নেতা জয়ারাম বলেন, ‘‘কংগ্রেস স্পষ্ট ভাবে এর (মুক্তির রায়ের) সমালোচনা করে এবং এটি সম্পূর্ণ ভুল বলেন বলে মনে করে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সব চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হল যে, সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে ভারতের ভাবাবেগের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়নি।’’
My statement on the decision of the Supreme Court to free the remaining killers of former PM Shri. Rajiv Gandhi pic.twitter.com/ErwqnDGZLc
— Jairam Ramesh (@Jairam_Ramesh) November 11, 2022
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট রাজীব খুনের মামলার আর এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে মুক্তি দিয়েছিল। সে সময়ও শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তে ‘বেদনা এবং হতাশা’ প্রকাশ করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের আপত্তি উপেক্ষা করে ২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর তৎকালীন এডিএমকে মন্ত্রিসভা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজীব-ঘাতকদের মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে বিধানসভায় পাশ করানো হয় বিল।
তামিলনাড়ুর তৎকালীন রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে গেলে তা তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠান। রাজ্যপাল এ বিষয়ে সিলমোহর না দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পেরারিভালন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তাঁর মুক্তির পর নলিনী এবং রবিচন্দ্রন মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। গত জুন মাসে মাদ্রাজ হাই কোর্ট এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে ‘পরামর্শ’ দেয় নলিনীদের। সেই আবেদনের শুক্রবার সাড়া দিয়েছে শীর্ষ আদালত।