এ বার বিজেপির মোকাবিলায় নয়া রাজনৈতিক কৌশল ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের। ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে সংঘাত চলছে তাঁর। অবৈধ খনন মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তদন্ত শুরু করেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করতে চলেছেন। জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির মহাজোট সরকারের দাবি, ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।
প্রথম বিলে সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তফসিলি এবং অনগ্রসরদের (ওবিসি) সংরক্ষণ বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। তফসিলি জনজাতির (এসটি) কোটা ২৬ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ, তফসিলি জাতির (এসসি) ১০ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ এবং ওবিসিদের কোটা ১৪ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করতে চায় হেমন্ত সরকার।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ শ্রেণিভুক্ত (জেনারেল) গরিবদের ১০ শতাংশ কোটা চালুর ছাড়পত্র দিয়েছে। তার প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ড সরকারের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিজেপির ‘পালের হাওয়া’ কাড়াই মহাজোট সরকারের উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
ঝাড়খণ্ডের জনজাতি গোষ্ঠীগুলির দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে আদি বাসিন্দাদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ১৯৩২ সালের জমির দলিলকে ‘প্রামাণ্য’ হিসাবে গণ্য করার কথা বলা হয়েছে দ্বিতীয় বিলে। ওই দলিল রয়েছে, এমন পরিবারগুলি জনজাতি অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের আদি বাসিন্দা হিসাবে স্বীকৃতি পাবে। এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়তে পারে বিজেপির উপর। কারণ, পরবর্তী সময়ে ঝাড়খণ্ডে আসা ‘বহিরাগত’ পরিবারগুলির (স্থানীয় ভাবে ‘দিকু’ নামে পরিচিত) বড় অংশই বিজেপির সমর্থক বলে পরিচিত।