Tomato Price Hike

৩০০ টাকা কেজি ছুঁতে পারে আগামীতে টোম্যাটোর দাম! ‘লাল সোনা’ নিয়ে চিন্তা কাটছে না গৃহস্থের

দিল্লির আজ়াদপুর মান্ডির পাইকারি ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভগত বলেছেন, ‘‘হিমাচলে ধস এবং অতিবৃষ্টির জেরে সবজি পরিবহণে সমস্যা হচ্ছে। এই কারণে টোম্যাটোর দাম ৩০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৪৯
representational image

— প্রতীকী ছবি।

টোম্যাটোর দাম নিয়ে চিন্তা ক্রমশ আকাশ ছুঁয়ে ফেলছে গৃহস্থের। গগনচুম্বী দামের জেরে খাবার পাতে ক্রমশ কমছে টোম্যাটো। এ বার পাইকারি বাজারের আশঙ্কা, আগামিদিনে ৩০০ টাকা ছুঁতে পারে ‘লাল সোনা’র দাম। এমন লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে টোম্যাটো উৎপাদনকারী রাজ্যগুলিতে অতি বৃষ্টির দোহাই দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার টোম্যাটোর খুচরো দর ছিল ২০৩ টাকা প্রতি কেজি। যদিও বুধবার রাজধানী দিল্লিতে মাদার ডেয়ারি টোম্যাটো বিক্রি করেছে কেজি প্রতি ২৫৯ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার অবশ্য কেজিতে ১০ টাকা দাম কমেছে। কিন্তু আগামিদিনে টোম্যাটোর দাম আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা। এর একমাত্র কারণ, জোগানের অভাব। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে টোম্যাটো কিনতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে মধ্যবিত্তের। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে পাইকারি বাজারের লোকজন যে ইঙ্গিত পাচ্ছেন, তাতে আগামিদিনেও দাম কমার বদলে আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা মনে দানা বাঁধছে। একই অবস্থা ক্যাপসিকামের দামের ক্ষেত্রেও।

এশিয়ার বৃহত্তম ফল ও সব্জি মান্ডি দিল্লির আজ়াদপুরে পাইকারি ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভগত সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘হিমাচলে ধস এবং অতিবৃষ্টির জেরে সব্জি পরিবহণে বিরাট সমস্যা হচ্ছে। সাধারণত যে সময় আমরা হাতে সব্জি পেয়ে যেতাম, এখন তার চেয়ে কম করে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। এই কারণেই টোম্যাটোর দাম ৩০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে।’’

সঞ্জয় আরও জানিয়েছেন, ইদানীং মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এবং হিমাচল থেকে টোম্যাটো, ক্যাপসিকাম-সহ যে সমস্ত সব্জি আসে, তার মান খারাপ। হিমাচলে গোটা জুলাই মাস ধরে প্রবল বৃষ্টি চলেছে। তার জেরে চাষের মাঠেই নষ্ট হয়েছে বহু সব্জি। সব মিলিয়ে আগামিদিনে টোম্যাটোর দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন পাইকারি কারবারিরা।

টোম্যাটোর দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর গত ১৪ জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ন্যায্য মূল্যে টোম্যাটো বিক্রি শুরু করে। দিল্লি ছাড়াও বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা-সহ একাধিক রাজ্যে সেই দামেই টোম্যাটো বিক্রি হচ্ছিল। তখন কিছু দিনের জন্য দাম খানিক নেমেছিল। কিন্তু সরকারি জোগানেও ইদানীং ভাটা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

আজ়াদপুর টোম্যাটো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কৌশিক বলেন, ‘‘শেষ তিন দিনে টোম্যাটোর আমদানি অনেকটা কমে গিয়েছে। কারণ, অতি বৃষ্টির জেরে ফসল নষ্ট হয়েছে প্রচুর।’’ তাঁর আশঙ্কা পরিস্থিতি রাতারাতি বদল না হলে খোলা বাজারে টোম্যাটোর দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলতে পারে। সে ক্ষেত্রে পকেটে বাড়তি চাপের জন্য প্রস্তুত থাকুন গৃহস্থ।

আরও পড়ুন
Advertisement