শনিবার দিনভর তৃণমূল নেতাদের আক্রান্ত হওয়ার এমনই ছবি উঠে এসেছে।
ত্রিপুরায় অশান্তি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে। এ বার দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত এবং সুদীপ রাহা-সহ যুব তৃণমূলের ১১ জনেক গ্রেফতার করা হল। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিংহ। বৃহস্পতিবারের হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাতভর কর্মসূচি চালান তাঁরা। তাতেই মহামারি আইন প্রয়োগ করে ভোররাতে গ্রেফতার করা হয়েছে সকলকে। রবিবারই আদালতে তোলা হবে তাঁদের।
২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপুরায় জমি দখলের চেষ্টা করায় সেখানকার বিজেপি সরকারের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্ঘাতের সূত্রপাত। বেশ কিছু দিন ধরে তা নিয়ে অশান্তি চলে আসছে। তার মধ্যেই যুব তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারিতে পরিস্থিতি আরও তেতে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দলের যুব সৈনিকদের পাশে থাকতে ইতিমধ্যে ত্রিপুরা পৌঁছে গিয়েছেন ব্রাত্য বসু, দোলা সেন এবং কুণাল ঘোষ।
ত্রিপুরা: রাতভর অবরুদ্ধ রাখার পর খোয়াইতে গ্রেপ্তার করা তৃণমূল নেতৃত্বকে যথাযথ নিরাপত্তায় বার করে আনা হোক।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 8, 2021
আগরতলায় গুন্ডারাজের তাণ্ডব চলছে।
ব্রাত্য, দোলা, আমি রওনা হচ্ছি।
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটু পরেই রওনা হবেন।#BhoyPeyechheBjp
দেবাংশুদের গ্রেফতার হওয়ার খবর রবিবার সকালে কুণাল প্রকাশ করেন নেটমাধ্যমে। তিনি লেখেন, ‘সারা রাত অবরুদ্ধ রেখে সকালে খোয়াইতে তৃণমূল-কংগ্রেস নেতৃত্বকে গ্রেফতার করল ত্রিপুরা পুলিশ।’ কুণাল আরও লেখেন, ‘যথাযথ নিরাপত্তায় বার করে আনা হোক সকলকে। আগরতলায় গুন্ডারাজের তাণ্ডব চলছে। ব্রাত্য, দোলা, আমি রওনা হচ্ছি। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটু পরেই রওনা হবেন।’
শনিবার দিনভর ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাদের উপর দফায় দফায় হামলা হয় বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। সকালে আমবাসায় আক্রান্ত হন দেবাংশু, জয়া, সুদীপরা। তাঁদের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। সরাসরি বিজেপি-র দিকে আঙুল তোলেন আক্রান্তরা। এর পর রাতে ফের তাঁদের উপর হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। তাতে তৃণমূল নেতারা আহতও হন। তার পরই ফের ত্রিপুরা যাচ্ছেন বলে ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ আগরতলা পৌঁছন তিনি।