তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দির। —ফাইল চিত্র।
অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগ ঘিরে সরগরম গোটা দেশ। এই আবহে মন্দিরের পবিত্রতা ফিরিয়ে আনতে সোমবার চার ঘণ্টা ধরে ‘মহাশনি হোমের’ আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে। সকাল ৬টায় শুরু হয় যজ্ঞ। শেষ হয় সকাল ১০টায়। যজ্ঞটি সম্পন্ন করেন মন্দিরের বেশ কয়েক জন পুরোহিত। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রসাদী লাড্ডুর পবিত্রতা ফিরিয়ে আনার জন্যই তাঁদের এই উদ্যোগ।
তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে গত বুধবারই ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু। তাঁর অভিযোগ ছিল, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘি-র সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত। গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে তিনি দাবি করেছিলেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। জগনের দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস আগেই ওই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং চন্দ্রবাবুর মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করে। কিন্তু তার পরেও বিতর্ক থামেনি।
চন্দ্রবাবুকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলে অভিহিত করে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন জগন। বিতর্কের মধ্যেই মন্দিরের ঘি রফতানিকারক একটি সংস্থা দাবি করে, ‘গরুর বিশুদ্ধ দুধ’ থেকেই তারা ঘি তৈরি করে। বিশুদ্ধতার প্রমাণস্বরূপ তাদের কাছে ল্যাবরেটরির রিপোর্ট রয়েছে বলেও জানায় সংস্থাটি। তবে বিষয়টি নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিয়েছে চন্দ্রবাবু সরকার। চন্দ্রবাবুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) আগেই মন্দিরের ট্রাস্ট তিরুমালা দেবস্থানম্-এর সভাপতি ভুমানা করুণাকর রেড্ডির বিরুদ্ধে সবর হয়েছিল। শুধু তিনি একা নন, ট্রাস্টের প্রাক্তন কার্যনিবাহী অফিসার এভি রেড্ডির বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছিল তারা। অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে মন্দির কমিটিতে থেকে নানা রকম অনিয়ম করেছেন তাঁরা। মন্দিরের অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে অন্ধ্র সরকার।