Suicide

স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ঋণ নিয়ে মেটাতে পারেননি, হেনস্থার মুখে চরম পদক্ষেপ পরিবারের তিন জনের!

আইজি ওমপ্রকাশ পাসোয়ান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জয় নারায়ণ ব্যাস কলোনির বাড়ি থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দম্পতির পুত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪ ২২:০৬

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

রাজস্থানের বিকানেরে আত্মঘাতী হলেন একই পরিবারের তিন জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন পরিবারের কর্তা। অভিযোগ, সে জন্য বার বার পাওনাদারদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয় গোটা পরিবারকে। তা থেকেই চরম পদক্ষেপ করেছেন রাহুল মারু, তাঁর স্ত্রী রুচি মারু বলে মনে করছে পুলিশ। তাঁদের সাত বছরের কন্যারও দেহ মিলেছে। দম্পতির ১৪ বছরের পুত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

আইজি ওমপ্রকাশ পাসোয়ান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার জয় নারায়ণ ব্যাস কলোনির বাড়ি থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দম্পতির পুত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে রাহুল লিখেছেন, ঋণশোধের জন্য তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। সে কারণেই এই পদক্ষেপ।

রাহুলের পুত্র পুলিশকে জানিয়েছে, সোমবার রাতে তাদের তিন জনকে একটি ওষুধ খেতে দিয়েছিলেন তার বাবা। সকলে ঘুমিয়ে পড়লেও সে পড়াশোনা করছিল। মাঝরাতে তার বমি হয়ে যায়। এর পরেই সে ঘুমিয়ে পড়ে। কিশোর দাবি করেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় তার ঘুম ভাঙে। তখন দেখে বিছানার উপর পড়ে রয়েছে তার বাবা, মা, বোন। তিন জনের মুখে রক্ত লেগে রয়েছে। এর পরেই আত্মীয়, প্রতিবেশীদের খবর দেয় কিশোর। তাঁরা এসে থানায় খবর দেন।

পুলিশ জানতে পেরেছে, রাহুলের ওষুধের দোকান ছিল। তাঁর স্ত্রীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ৬০ লক্ষ টাকা ধার করেছিলেন তিনি। নিজেদের বাড়ি, গাড়ি বিক্রি করেও টাকা শোধ করতে পারেননি। সম্প্রতি একটি ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন। সেখানে প্রায়ই পাওনাদারদের আনাগোনা লেগে থাকত। অভিওগ, তাঁকে হেনস্থাও করা হত।

আরও পড়ুন
Advertisement