Narendra Modi

নতুন শিক্ষা নীতি দূরদর্শী ও ভবিষ্যৎ-মনস্ক, দাবি মোদীর

শনিবার স্বাধীনতার ৭৫ বছরের অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে গুজরাতের রাজকোটের শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:২০
প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

জাতীয় শিক্ষা নীতির বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দাবি করা হয়েছিল, এটি চালু করার মূল উদ্দেশ্য ভারতের শিক্ষাকে পুনর্নির্মাণ করা। সেই আশ্বাস থাকা সত্ত্বেও স্কুলস্তর নয়, জাতীয় শিক্ষানীতি ঘিরে প্রবল সংশয় ও শঙ্কা তৈরি হয়েছিল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে। ছাইচাপা সেই শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যেই শনিবার প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানালেন, ভারতের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে এহং ভবিষ্যৎ শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির দিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরি হয়েছে এই নীতি। তাই উদ্বেগের বিশেষ কারণ নেই।

শনিবার স্বাধীনতার ৭৫ বছরের অমৃত মহোৎসব উপলক্ষে গুজরাতের রাজকোটের শ্রী স্বামীনারায়ণ গুরুকুলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে জোরালো সওয়াল করেন। এই নীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তোলা বিরোধীদের কটাক্ষের প্রকারান্তরে জবাব দিয়ে মোদী বলেন, এটা সকলেরই জানা যে দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরিতে শিক্ষার নীতি ও প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নতুন শিক্ষা নীতির প্রবর্তন সেই কারণেই। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে দেশের শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নে সমাজের প্রতিটি স্তরে কাজ করা হচ্ছে। এরই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, দেশ এই প্রথম এমন একটি শিক্ষা নীতি তৈরি করেছে যা দূরদর্শী ও ভবিষ্যৎ-মনস্ক। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সারা দেশে প্রযুক্তি, কারিগরি ও ডাক্তারি শিক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে বহু আইআইটি, আইআইএম এবং মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট। বিশেষ করে, ডাক্তারি পড়ার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৬৫ শতাংশেরও বেশি। মোদীর দাবি, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষের সময় নতুন শিক্ষা নীতিতে শিক্ষিত যুবসম্প্রদায় উন্নত ভারতের সমস্ত স্বপ্ন সত্যি করতে পারবে।

Advertisement

তবে শুধু জাতীয় শিক্ষা নীতির প্রশস্তি করেই এ দিন ক্ষান্ত হননি প্রধানমন্ত্রী। দেশের বর্তমান ও অতীত শিক্ষাব্যবস্থার তুলনা করতে গিয়ে পূর্বতন সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, ‘ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশ যখন স্বাধীন হল তখন ভারতের প্রাচীন যে সমস্ত গৌরবজ্জ্বল শিক্ষাকেন্দ্রগুলি ছিল সেগুলো পুনরুদ্ধার করার দায়িত্ব ছিল আগের সরকারের। তা হয়নি কারণ পূর্বতন সরকারের চিন্তা ভাবনার মধ্যে দাসত্বের ছাপ ছিল স্পষ্ট। নতুন করে দেশের প্রাচীন শিক্ষার গৌরব উদ্ধার করতে একজোটে কাজে নেমেছেন আচার্য ও সাধুরা।’ তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ স্বামীনারায়ণ গুরুকুল, এই বলে প্রশংসাও করেন তিনি।

আরও পড়ুন
Advertisement