—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
জনপ্রিয় অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা সুইগিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে বেঙ্গালুরুর উপভোক্তা আদালত। অভিযোগ, আইসক্রিমের অর্ডার নেওয়ার পরেও তা তারা ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেয়নি। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তির মুখে সুইগি।
এই সংস্থার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে উপভোক্তা আদালতে মামলা করেন তরুণী। তাঁর অভিযোগ, সুইগি থেকে একটি আইসক্রিম তিনি অর্ডার করেছিলেন। দাম নেওয়া হয়েছিল ১৮৭ টাকা। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তা তাঁর বাড়িতে পৌঁছয়নি। এক সময় তরুণী ওই অ্যাপে দেখতে পান, তাঁর অর্ডার করা আইসক্রিমের পাশে লেখা আছে ‘ডেলিভারড’। অর্থাৎ, অ্যাপে বলা হচ্ছে, আইসক্রিম তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে। অথচ, তিনি নিজে তা হাতেই পাননি বলে দাবি করেন।
বিষয়টি সংস্থার নজরে আনেন তরুণী। অভিযোগ জানান অ্যাপে। কিন্তু তার পরেও ওই সংস্থা তাঁকে কোনও সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ। এমনকি, ফেরত দেওয়া হয়নি তাঁর টাকাও।
তরুণী জানান, খাবারটি তাঁর ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য যে ‘ডেলিভারি বয়’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তিনি সংশ্লিষ্ট রেস্তরাঁ থেকে খাবার সংগ্রহ করেছিলেন। অ্যাপে সেই সংক্রান্ত আপডেটও দেখতে পেয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু তার পর ‘ডেলিভারি বয়’ আর তাঁর বাড়িতে আইসক্রিম নিয়ে আসেননি।
সংস্থার তরফে কোনও সাহায্য না পেয়ে বেঙ্গালুরুর উপভোক্তা আদালতে মামলা করেন তরুণী। সুইগির তরফে আইনজীবী যুক্তি দেন, ওই সংস্থা ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাঝের এক মধ্যস্থতাকারী মাত্র। ‘ডেলিভারি বয়’-এর ভুলের দায় তারা নেবে না। কোনও অর্ডার ‘ডেলিভারড’ হয়ে যাওয়ার পর সেটি কোথায় কোন অবস্থায় আছে, তা খুঁজে বার করা সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয় বলেও জানান সুইগির আইনজীবী। কিন্তু আদালত সুইগির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, অর্ডার করা খাবারটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছয়নি, জানার পরেও সুইগি টাকা ফেরত দেয়নি। এর দায় তাদেরই নিতে হবে। সংস্থাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ তিন হাজার টাকা এবং মামলার খরচ বাবদ আরও দু’হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও আইসক্রিমের দাম ১৮৭ টাকাও মামলাকারীকে ফেরত দেবে সুইগি।