Bhojshala Row

মুসলিমদের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, মধ্যপ্রদেশের ভোজশালায় ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করবে এএসআই

মধ্যপ্রদেশের ধার শহরে প্রায় হাজার বছরের পুরনো ওই কামাল মাওলানার দরগা এবং মসজিদ রয়েছে এএসআই-এর তত্ত্বাবধানে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, সৌধটি আসলে রাজা ভোজের তৈরি সরস্বতী মন্দির।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:০০

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

মধ্যপ্রদেশের ভোজশালা দরগায় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই)-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায়’ বাধা দিল না সুপ্রিম কোর্ট। মুসলিম পক্ষের তরফে এ বিষয়ে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, সোমবার শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে।

Advertisement

তবে সেই সঙ্গেই স্পষ্ট ভাষায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই ওই বিতর্কিত কাঠামোর ‘চরিত্র’ বদলের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার, মধ্যপ্রদেশ সরকার এবং সে রাজ্যের ধার জেলা প্রশাসনকে এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ।

বারাণসীর জ্ঞানবাপীর মতো ভোজশালাতেও এএসআই-এর ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র আবেদন জানানো হয়েছিল হিন্দু পক্ষের তরফে। গত ১১ মার্চ মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট সেই আবেদন মেনে রায় ঘোষণার পরে ভোজশালায় সমীক্ষার কাজও শুরু হয়। কিন্তু মুসলিম পক্ষ সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। দুই বিচারপতির বেঞ্চ সোমবার ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’য় ছাড়পত্র দিলেও খননের মাধ্যমে ওই সৌধের ‘চরিত্র’ বদলের চেষ্টা সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

মধ্যপ্রদেশের ধার শহরে প্রায় হাজার বছরের পুরনো ওই কামাল মওলানার দরগা এবং মসজিদ রয়েছে এএসআই-এর তত্ত্বাবধানে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, সৌধটি আসলে রাজা ভোজের তৈরি প্রাচীন সরস্বতী মন্দির। ২০০৩ সালের সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতি মঙ্গলবার হিন্দুদের পুজো করতে দেওয়া হয় ভোজশালায়। মুসলিমদের শুক্রবারে নমাজ পড়তে দেওয়া হয়। কিন্তু হিন্দু পক্ষ সেখানে নমাজ বন্ধের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement