সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
প্রতিহিংসা নয়, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ইডিকে তদন্ত করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ইডির একটি মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যবসায়ীকে জামিন দিয়ে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত জানায়, তারা আশা করে যে, স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্তপ্রক্রিয়া চালাবে ইডি। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত।
গত ১৪ জুন গুরুগ্রামের একটি আবাসন সংস্থার দুই মালিক বসন্ত বনসল এবং পঙ্কজ বনসলকে গ্রেফতার করে ইডি। কিন্তু ওই দিন যে মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল, সেই মামলায় নয়, অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা আদালতের দ্বারস্থ হন অভিযুক্তেরা। কিন্তু তাঁদের আর্জি খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন দু’জন।
এই মামলার শুনানিতেই আদালতের পর্যবেক্ষণ, “ইডির প্রতিটি কাজ স্বচ্ছ হবে, এমনটা প্রত্যাশা করাই যায়।” এই প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের সংযোজন, “ইডি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবে, এমনটা প্রত্যাশিত নয়।” আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, অভিযুক্তেরা আর্থিক তছরুপে যুক্ত, এমনটা মনে করার সঙ্গত কারণ ছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কাউকে সমন পাঠিয়ে ডাকার পরেও সেই ব্যক্তি না এলে তাঁকে গ্রেফতার করা যায় না। কাউকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা মাত্রই তিনি অপরাধে জড়িত, এমনটা মনে করারও কারণ নেই বলে ইডিকে স্মরণ করিয়ে দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
বসন্ত এবং পঙ্কজের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, তাঁরা ইডির বিশেষ আদালতের বিচারক সুধীর পারমারকে ঘুষ দিয়েছিলেন। রায় দিতে গিয়ে ওই বিচারক বনসল ভাইদের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি করে ইডি। যদিও গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি ইডি। তবে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে ইডিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’ ব্যবহার করার অভিযোগে বিরোধী দলগুলি যখন সরব, তখন উচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার এই মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও।