ধোঁয়ায় ঢাকা দিল্লি। ছবি পিটিআই।
নয়াদিল্লি, ২৮ নভেম্বর: দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে উদ্বেগ নানা মহলে। রাজধানীতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ বা জিআরএপি রয়েছে তার চতুর্থ স্তরে কিছু আপৎকালীন পদক্ষেপের উল্লেখ রয়েছে। সেই কড়াকড়ি তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। যদিও তা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কড়াকড়ি বহাল থাকবে।
বিচারপতি অভয় এস ওক এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির বেঞ্চ আজ জানিয়েছে, কোর্ট কমিশনার যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, জিআরএপি ৪-এর বিধিনিষেধ যথাযথ ভাবে কার্যকর হয়নি।
আদালত জানিয়েছে, যাতে স্কুল চলে, সেই সংক্রান্ত বিধি ছাড়া জিআরএপি ৪-এর আওতায় কোনও কড়াকড়ি কমানো হবে না। অর্থাৎ শুধু অনলাইন ক্লাস নয়, ‘হাইব্রিড মডেলে’ ক্লাস চলবে স্কুলে। এই সময়ে বায়ুর গুণমান ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কমিশন বৈঠক করে পরামর্শ দিতে পারে জিআরএপি চতুর্থ থেকে তৃতীয় কিংবা দ্বিতীয় স্তরে নিয়ে আসা সম্ভব কি না। এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে, জিআরএপি ৪ কার্যকরে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।
উল্লেখ্য, জিআরএপি-৪ অনুযায়ী, অত্যাবশ্যক নয়, এমন পণ্যবাহী ট্রাক রাজধানীতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের কথা বলা হয়েছে। ২০১৭ সালে দূষণ কমাতে তা কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। পঞ্জাবের সাঙ্গরুর ব্লকে পটওয়ারি ইউনিয়নের সভাপতি ও এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, নাসার উপগ্রহের নজরদারি এড়াতে বিকেল ৪টের পরে ফসলের গোড়া পোড়ানো হয়। আদালত জানিয়েছে, ঘটনাটা সত্য হলে তা গুরুতর বিষয়। পঞ্জাব সরকারকে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সমস্ত আধিকারিককে এ বিষয়ে কড়া বার্তা দিতে হবে। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ফসলের গোড়া পোড়ানো সংক্রান্ত সর্বক্ষণের তথ্য রাখতে হবে।
ভারতে বর্তমানে নাসার উপগ্রহ থেকে ফসলের গোড়া পোড়ানো সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওই উপগ্রহ দিনে দু’বার পঞ্জাব ও হরিয়ানার নাড়া পোড়ানোর বিষয়টি নজর রাখে। সেখান থেকেই তথ্য নেয় ভারতের এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)। এর আগে ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়, নাড়া পোড়ানো ৭০ শতাংশ কমেছে। যদিও নাসার বিজ্ঞানী হিরেন জেঠভা দাবি করেছিলেন, আসলে নাড়া পোড়ানো কমেনি। উপগ্রহের নজরদারি ফাঁকি দিতেই নির্দিষ্ট সময়ের পরে ফসলের পোড়ানো হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা